এবারও জমা পড়েনি জুলহাজ-তনয় হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন

রাজধানীর কলাবাগানে সমকামী অধিকার কর্মী জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা দুই মামলায় এবারও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি পুলিশ।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Oct 2017, 08:01 AM
Updated : 24 Oct 2017, 08:01 AM

হত্যা ও অস্ত্র আইনের দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা মঙ্গলবার সর্বশেষ নির্ধারিত দিনে প্রতিবেদন জমা দিতে না পারায় ঢাকার মহানগর হাকিম মাহমুদা আক্তার সময় বাড়িয়ে আগামী ২১ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করেছেন।

আলোচিত এ ঘটনায় এবারসহ ১৮টি ধার্য দিনে প্রতিবেদন জমা পড়েনি বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান আদালত সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্য নূরুল ইসলাম।

এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ছিল।

দেড় বছর আগে জুলহাজ-তনয়কে হত্যার এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার তদন্ত করছেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক বাহাউদ্দিন ফারুকী। আর অস্ত্র মামলার তদন্ত করছেন ডিবি পুলিশ পরিদর্শক নুরুল আফসার।

এ দুই মামলায় এখন পর্যন্ত শরীফুল ইসলাম কেরামত ও রাশিদুন্নবী ভূইয়া টিপু নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের একজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগানের লেক সার্কাস রোডের বাড়িতে প্রবেশ করে সমকামী অধিকারকর্মী জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু থিয়েটারকর্মী মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

জুলহাজ-তনয়কে হত্যার পর খুনিরা পালানোর সময় ওই বাড়ির দারোয়ান পারভেজ মোল্লাও তাদের হামলার শিকার হন। একজনের কাছ থেকে একটি ব্যাগ ছিনিয়ে রাখেন কলাবাগান এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এএসআই মমতাজ, যেখানে একটি পিস্তল, একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও মোবাইল ফোন পাওয়ার কথা সে সময় জানানো হয়।

ঘটনার রাতেই জুলহাজের ভাই মিনহাজ মান্নান অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে কলাবাগান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আর এএসআই মমতাজের ওপর হামলা এবং অস্ত্র পাওয়ার ঘটনায় কলাবাগান থানার এসআই শমীম আহমেদ করেন আরেকটি মামলা।

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক দীপু মনির খালাত ভাই জুলহাজ (৩৫) ছিলেন উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইডের কর্মী। সমকামীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সাময়িকী ‘রূপবান’ সম্পাদনায় যুক্ত ছিলেন তিনি।

তার বন্ধু মাহবুব রাব্বী তনয় (২৬) ছিলেন লোকনাট্য দলের কর্মী। পিটিএ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ‘শিশু নাট্য প্রশিক্ষক’ হিসেবেও তিনি কাজ করতেন।