দুর্ভোগে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের যাত্রীরা

ঢাকা থেকে একের পর এক ফ্লাইট বাতিলে দুর্ভোগে পড়েছেন টার্কিশ এয়ারলাইন্সের দুই শতাধিক যাত্রী।

গোলাম মুজতবা ধ্রুব নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Oct 2017, 03:30 PM
Updated : 23 Oct 2017, 03:39 PM

এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাসই দিয়ে যাচ্ছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ।

তুরস্কের বিমান সংস্থাটির স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, যাত্রীদের ধীরে ধীরে বিভিন্ন ফ্লাইটে তুলে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

সোমবার ভোরে ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দরে গিয়ে ফ্লাইট না পেয়ে ফেরত যান উত্তর বাড্ডার সীমা মোল্লা। পরপর দুদিন ফেরত গেলেন তিনি। সীমা যাবেন ইতালি। 

সীমার বড় ভাই জাহিদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার ফ্লাইট ছিল রোববার ভোর ৫টায়, তা যায়নি। এরপর সোমবার ভোর সোয়া ৬টায় ফ্লাইট নির্ধারিত হয়। তবে তাও বাতিল হয়।

তিনি বলেন, “এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তার কোনো প্রতিফলন নেই। অন্তত ২০০ যাত্রীকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে।”

ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থান করতে দেখা যায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বাসিন্দা রফিক প্রধানকে।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মিলান যাব বলে ৩৬ ঘণ্টা ধরে এয়ারপোর্টে বসে আছি। টার্কিশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ কখনও বলছে এই ফ্লাইটে যাবেন, আবার কখনও বলছে ওই ফ্লাইটে যাবেন।”

যাত্রীরা প্রতিবাদ করলে বিমান সংস্থাটির কর্মীরা ‘অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার’ করছে বলে অভিযোগ করেন রফিক প্রধান। তিনি বলেন, “যাত্রীরা অসহায় হয়ে পড়েছে।”

এই বিষয়ে টার্কিশ এয়ারওয়েজের কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজার জাফর ইমাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাদের ফ্লাইট বাতিলের কারণে ২৩৬ জন যাত্রী নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে যেতে পারেননি।

“ধীরে ধীরে তাদের নিজ গন্তব্যে পাঠানোর পর এখন ৬৭ জন যাত্রী ঢাকার একটি হোটেলে অবস্থান করছেন। আগামীকাল সকালে তাদেরও পাঠানো হবে।”

যাত্রীদের কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও প্রত্যাখ্যান করেন জাফর।

তিনি বলেন, “ফ্লাইট বাতিলের কারণে যাত্রীরা খুব উত্তেজিত হয়ে রয়েছেন। আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি। তাদের থাকার ব্যবস্থা করেছি। তবে কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়নি।”

 (প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন ফয়সাল আতিক)