কবি শামসুর রাহমানের ৮৯তম জন্মদিন স্মরণে জাতীয় জাদুঘরের আয়োজনে তার জীবন ও সাহিত্য নিয়ে আলোচনা সভার প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “শামসুর রাহমান নাগরিক কবি ছিলেন। মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা, ক্ষোভ তার কবিতায় উঠে এসেছে। তিনি কখনো কোনো সরকারের পোষা কবি ছিলেন না। সেজন্য তার কবিতা ছিল সত্যের শক্তিতে শাণিত।
“ধর্মান্ধ, মৌলবাদ ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠায় কবির বাসভবনে হামলা করেছিল উগ্রবাদীরা। তবুও দমে যাননি কবি।”
আলোচনায় অংশ নেন কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, হাবীবুল্লাহ সিরাজী, নাসির আহমেদ, মাহবুব আজিজ প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী।
কবি মুহাম্মদ নূরুল হুদা বলেন, “শামসুর রাহমান প্রথম থেকেই ব্যক্তির অনুভূতির কথা, দেশের কথা, মানুষের কথা কবিতায় বলেছেন। তার কবিতা জাতির কণ্ঠস্বরে পরিণত হয়েছে। শামসুর রহমান আমাদের সময়ের শ্রেষ্ঠ কবি।”
আলোচনা সভার পাশাপাশি জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনের উন্মুক্ত স্থানে ছিল আলোকচিত্র প্রদর্শনী। প্রদর্শনীতে ঠাঁই পেয়েছে কবির লেখা বিভিন্ন পাণ্ডুলিপি, প্রদর্শিত হয়েছে কবিকে নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র। প্রদর্শনী চলবে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত।
খেলাঘরের ‘রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্ত’ জয়ন্তী পালন
কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর সোমবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত, নৃত্যকলা, আবৃত্তি কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজন করে ‘রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্ত জয়ন্তী ২০১৭’।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর আতিউর রহমান প্রধান অতিথি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সৌমিত্র শেখর বিশেষ অতিথি ছিলেন।
অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে সংগঠনের শিল্পীরা একক ও সমবেত সঙ্গীত, একক ও সমবেত আবৃত্তি এবং সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন।
সেমন্তী রোদসী একক অভিনয় করেন ‘রক্তকরবী’র অংশবিশেষ।
জয়নুল গ্যালারিতে চলছে জলরঙ প্রদর্শনী
পাশ্চাত্যের সঙ্গে প্রাচ্যের সংযোগে জলরং মাধ্যমে নতুন নিরীক্ষা শুরু করেছেন পাঁচ তরুণ শিল্পী। বাংলার রূপবৈচিত্র্যকে তারা ক্যানভাসে তুলে ধরছেন।
তাদের এমন ৩৫টি ছবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালারিতে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শনী ‘জলকেলি’। সোমবার দুপুরে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান।
সুমন কুমার সরকার, শেখ ফাইজুর রহমান, সৈকত হোসেইন, অজয় স্যানাল, শিপ্রা বিশ্বাস- এই পাঁচ তরুণের ক্যানভাসে উঠে আসে গ্রামবাংলার জীবনবৈচিত্র্যের কথা। জলরঙ মাধ্যমে তারা সমতলের পাশাপাশি পাহাড়ি জনপদের গল্প আর ঐতিহ্যবাহী কিছু স্থাপনার গল্পও বলেছেন।
২৯ অক্টোবর পর্যন্ত এই প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।