‘দেশ-কালের চেতনায় অনন্য শামসুর রাহমানের কবিতা’

দেশ ও কালের চেতনায় কবি শামসুর রাহমানের কবিতা বাংলা সাহিত্যে অনন্য বলে মন্তব্য করেছেন বাংলা একাডেমির পরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Oct 2017, 03:20 PM
Updated : 23 Oct 2017, 03:20 PM

সোমবার বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

কবি শামসুর রাহমানের ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে ‘শামসুর রাহমানের কবিতার দেশে’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।

শামসুজ্জামান খান বলেন, “শামসুর রাহমান একজন বহুমাত্রিক কবি। তিনি প্রেম ও রাজনীতিকে এক অসামান্য শিল্পদক্ষতায় কালোত্তীর্ণ কবিতার বিষয় করে তুলতে পেরেছেন।

“ব্যক্তিগত অনুভূতির তীব্রতায় যেমন তার কবিতা শিল্পরক্তিম, তেমনি দেশ ও কাল চেতনার প্রেক্ষিতেও তিনি অনন্য।”

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে গবেষক তারেক রেজা বলেন, “হৃদয়জুড়ে বাংলাদেশকে এঁকে নিয়েই শামসুর রাহমান কবিতার সঙ্গে সংসার সাজাতে নেমেছিলেন।

“তার কবিতায় যে বাংলাদেশ বার বার উঁকি দেয়, দেশকে তার মতো করে আর কেউ দেখেনি। কেউ যদি দেখতেন, তাহলে বার বার শামসুর রাহমানের কবিতার কাছে ফিরে যাওয়ার আকুতি আমাদের মধ্যে এতো তীব্র হতো না।”

তিনি বলেন, “শামসুর রাহমান তার মতো করে দেখতে চেয়েছেন, দেখাতে চেয়েছেন তারই দৃষ্টিস্নাত অন্য এক বাংলাদেশকে এবং এই চাওয়ার সঙ্গে তার শিল্পসত্ত্বার সংযোগ সাধনের কাজটিও তিনি অত্যন্ত নিপুণভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছেন।”

অনুষ্ঠানের আলোচক গবেষক অনু হোসেন বলেন, “শামসুর রাহমান শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তার কবিতায় ব্যক্তি ও সমষ্টিকে যুগপৎ ধারণ করেছেন। বাংলা কবিতায় তিনি সংযোজন করেছেন এক নিজস্ব নতুন স্বর।

“গত শতকের ষাটের দশকে রচিত কবিতার পর কবিতায় শামসুর রাহমান অঙ্কন করেছেন আসন্ন বাংলাদেশের মানচিত্র। স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে তার সোচ্চার কণ্ঠ কবিতার টেবিল থেকে রাজপথের সীমানা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।”

আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারপারসন বেগম আকতার কামাল। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কথা সাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক, কবি কাজী রোজী এবং ড. আলী আসগর।