সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে ‘যথাযথ তদন্ত’ করে প্রতিবেদন প্রকাশের আগ পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছে তারা।
প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের দাবি উঠলেও প্রশাসন বলছে, পরীক্ষার ফলাফলের বিগত বছরের ধারাবাহিকতা রয়েছে, যা প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার প্রমাণ দেয় না।
সংবাদ সম্মেলনে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি ইমরান হাবিব রুমন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে তদন্ত করা হচ্ছে, অথচ কাদের নিয়ে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, আদৌ করা হয়েছে কি না, তা নিয়ে পুরো জাতি অন্ধকারে আছে।
“তদন্ত ছাড় ফল প্রকাশ না করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ করেছিলোম। অথচ এই ইউনিটে পরীক্ষার্থী অনেক বেশি থাকা সত্ত্বেও তড়িঘড়ি করে এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে।”
ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী বলেন, “প্রশ্নফাঁস নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বক্তব্যে গরমিল আছে। একবার বলছে এর সাথে কেউ জড়িত থাকলে ছাড় দেওয়া হবে না, আবার বলছে প্রশ্ন ফাঁস হয়নি।”
‘তড়িঘড়ি করে’ ফল প্রকাশ প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগকে আরও শক্তিশালী করে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবিতে মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে ছাত্রজোট।
সংবাদ সম্মেলনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্কসবাদী) সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকা, সাধারণ সম্পাদক স্নেহাদ্রী চক্রবর্তী, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর যুগ্ম-আহ্বায়ক ইকবাল কবীর ও ছাত্র ঐক্য ফোরামের সদস্য আর্নিকা তাসমীম উপস্থিত ছিলেন।