ভারতীয় অর্থায়নের ১৫ প্রকল্প উদ্বোধন

ভারত সরকারের অর্থায়নের ১৫টি উন্নয়ন প্রকল্প এবং ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনের নতুন চ্যান্সেরি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Oct 2017, 05:29 AM
Updated : 23 Oct 2017, 08:53 AM

সোমবার সকালে ঢাকার বারিধারায় ভারতীয় হাই কমিশনের চ্যান্সেরি কমপ্লেক্সে এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুও উপস্থিত ছিলেন। 

৭২ কোটি টাকা ব্যয়ের এসব উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, তথ্য-প্রযুক্তি, পানি সরবরাহ এবং সামাজিক সুরক্ষা খাতের বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে, যেগুলো বাছাই করা হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে।

এর মধ্যে একটি প্রকল্পের আওতায় পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় ১১টি পানি শোধনাগার নির্মাণ করা হচ্ছে, যেখানে লবণাক্ত পানি শোধন করে দেড় লাখ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মত সুপেয় পানি উৎপাদন করা যাবে।    

একটি প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন স্থানে ৩৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হবে। আরেকটি প্রকল্পে নতুন করে নির্মাণ করা হবে রমনা কালী মন্দির।  

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী রমনা কালী মন্দির গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। সেখানে মূল মন্দির ছাড়াও একটি পাঁচ তলা অতিথিশালা নির্মাণ করা হবে। মন্দির প্রাঙ্গণে বসানো হবে একটি গভীর নলকূপ। এছাড়া মন্দির মূল ফটকও নির্মাণ করা হবে।     

ভারতীয় হাই কমিশন ইতোমধ্যে গুলশান ১ নম্বর থেকে বারিধারার কূটনৈতিক জোনের নতুন চ্যান্সেরি কমপ্লেক্সে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ সোমবার তার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন।

দুই দিনের সফরে রোববার ঢাকা পৌঁছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ পরামর্শক কমিশনের চতুর্থ সভায় অংশ নেন সুষমা। 

ওই বৈঠকের পর মাহমুদ আলী বলেন, বাংলাদেশের জন্য ভারত সবচেয়ে ‘গুরুত্বপূর্ণ ও বিশ্বাসভাজন’ প্রতিবেশী রাষ্ট্র এবং গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার।  

যৌথ পরামর্শক কমিশনের সভার পর ‘ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট অন দ্য এস্টাবলিস্টমেন্ট অব দ্য ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যায়ায়েন্স’ এ অনুসমর্থনের নথি সুষমা স্বরাজের কাছে হস্তান্তর করেন মাহমুদ আলী।

দুই মন্ত্রীর উপস্থিতিতে ওই বৈঠকে একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা এবং গ্যাসওয়েল কেনার বিষয়ে দুটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়। 

এর মধ্যে প্রথম সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয় ভারতের এইচটিএম ও ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অব বাংলাদেশের মধ্যে। এর আওতায় খুলনায় একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় ১০ কোটি রুপি দেবে ভারত সরকার।

আর দ্বিতীয় সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ও ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারির মধ্যে।