রোববার ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স অন পলিসি ইমপ্লিকেশন অব পপুলেশন এজিং’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানানো হয়।
ঢাকার আগারগাঁওয়ে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানে বক্তরা টেকসই উন্নয়নের জন্য সব বৃদ্ধদের পেনশন দেওয়ার সুপারিশ করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রবীণ জনসংখ্যার ২৭ শতাংশ বয়স্ক ভাতা এবং ৪ শতাংশ সরকারের পেনশন পান।
১৬ কোটি মানুষের এই দেশে প্রবীণের সংখ্যা প্রতিবছর ৪ দশমিক ৪১ শতাংশ হারে বাড়ছে বলেও অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংসদের প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ বলেন, এখন আগের মতো পারিবারিক বন্ধন আর নেই। পরিবারের কর্তা বুড়ো হয়ে গেলে তাকে যথাযথ সেবা ও যত্নের মধ্যে রাখা হচ্ছে না।
“বুড়ো বয়সে অর্থসঙ্কটে পড়ছেন তারা। তাই সরকার বয়স্ক ভাতার প্রচলন করেছে। তবে সবাইকে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।”
বয়স্কদের কীভাবে ভাতা দিলে সবচেয়ে কার্যকর হবে, সে বিষয়ে পিকেএসএফ`কে একটি মডেল দাঁড় করানোর অনুরোধ জানান তিনি।
পিকেএসএফ চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. এ কে এম নূরুন্নবী।
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৬৮ শতাংশ সক্ষম মানুষ। কিন্তু ২০৪৭ সালের পর থেকে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাবে।
তাই উন্নত দেশের কাতারে বাংলাদেশকে নিতে হলে এখন অতিরিক্ত শ্রম শক্তি কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন তিনি।
বয়স্ক মানুষদের জন্য নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করতে তিনটি পরামর্শ দেন অধ্যাপক নূরুন্নবী। সেগুলো হচ্ছে, বৃদ্ধদের জন্য প্রথমে অস্থায়ী সেবা সেন্টার প্রতিষ্ঠা, দীর্ঘ মেয়াদী কেয়ার সেন্টার স্থাপন এবং মানসিক স্বাস্থ্য সেন্টার স্থাপন।
বৃদ্ধদের ভাতা বাড়ানোর সুপারিশও করেন তিনি।
খলীকুজ্জমানও একই সুপারিশ জানিয়ে বলেন, দেশে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে অবশ্যই বয়স্ক মানুষদেরও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।