সমস্যা শুনে তাৎক্ষণিক সমাধান দিলেন মেয়র খোকন

ঢাকার ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে নয়াবাজারগামী সড়কটিতে দুটি চৌরাস্তার মোড় থাকলেও সেখানে নেই কোনো ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ। ফলে ক্ষণে ক্ষণে দীর্ঘস্থায়ী যানজট লেগে থাকে এই সড়কে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Oct 2017, 02:54 PM
Updated : 22 Oct 2017, 02:54 PM

রোববার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে ‘জনতার মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি’ অনুষ্ঠানে এক নাগরিকের কাছে এই অভিযোগ পান মেয়র সাঈদ খোকন।

অনুষ্ঠানস্থল থেকে সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা মহানগর ট্রাফিকের (দক্ষিণ) কর্মকর্তাকে ফোনে বিষয়টি জানান মেয়র। ওপার থেকে ফোনে জানানো হয়, বিকালের মধ্যেই ওই সড়কে দুইজন ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য শেষে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার আবু সাঈদকে পাশে রেখে এলাকাবাসীর মুখ থেকে তাদের সমস্যাগুলো শোনেন মেয়র। অন্তত ২০ জন নাগরিক স্থানীয় নানা সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। অন্য ওয়ার্ডের একাধিক ব্যক্তিও অংশ নেন আলোচনায়।

তিতাস গ্যাস, ডিপিডিসি, পুলিশসহ নগরে সেবাদানকারী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।

মালিটোলা লেইনের এক বাসিন্দা বলেন, সেখানে ওয়াসার পানির সঙ্গে সুয়ারেজের নোংরা পানি মিশে গিয়ে দুর্গন্ধের সৃষ্টি করছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ওয়াসা কর্মকর্তা সোমবারের মধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়ে সমস্যার সমাধান করার আশ্বাস দেন।

একই এলাকায় একটিমাত্র হাইস্কুল থাকায় আরেকটি প্রতিষ্ঠার দাবি জানান কয়েকজন বাসিন্দা। তখন একটি প্রাইমারি স্কুলে নতুন ভবন নির্মাণ করে সেটাকে হাইস্কুল পর্যায়ে উন্নীত করার পরিকল্পনার কথা জানান মেয়র।

ইংলিশ রোডে দীর্ঘদিন ধরে থাকা ডাস্টবিন সরানোর দাবি উঠলে সেটি কোথায় সরানো যায় মেয়র জানতে চান। পাশে বিদ্যুৎ ও ওয়াসার অফিসের মধ্যবর্তী একটি স্থান রয়েছে বলে এলাকাবাসী মেয়রকে জানান।

সেখানে ডাস্টবিন স্থাপন করা যায় কিনা ডিএসসিসির প্রকৌশলীদের তা দিনের মধ্যেই খতিয়ে দেখতে বলেন মেয়র।

তাতীবাজার মোড়ে ফার্মগেইটের মতো করে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবি উঠলে- একই স্থান দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কথা জানান মেয়র। ফলে বিকল্প হিসাবে পরীক্ষামূলকভাবে জেব্রা ক্রসিং স্থাপনের কথা জানান তিনি।

পুরোনো মোগলটুলিতে এখনও পয়ঃনিষ্কাশন লাইন স্থাপন হয়নি বলে সেখানকার একাধিক বাসিন্দা মেয়রের কাছে অভিযোগ করেন। সেখানে থাকা জুতার কারখানাগুলো মধ্যরাতের পরও চালু থাকায় এলাকাবাসীর ঘুমের ক্ষতি হওয়ার কথাও মেয়রকে জানান তারা।

স্থানীয় পঞ্চায়েতের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে পারলে এসব কারখানাকে রাত ১২টার মধ্যে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া যাবে বলে মেয়র জানান।

বংশালের মাজেদ সর্দার রোড, হাজী আব্দুল্লাহ সড়কসহ আরও কয়েকটি ফুটপাথ দখল, সড়কের ওপর বাজার স্থাপনসহ আরও কিছু নাগরিক সমস্যা সম্পর্কে শোনেন মেয়র। এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নগরীর সম্পত্তি বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগকে নির্দেশ দেন তিনি।

মেয়র বলেন, “১২টি খেলার মাঠ ও ১৯টি পার্ক সাজানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছি। একশ জন আর্কিটেক্টককে সঙ্গে নিয়ে বসে পার্কগুলোর ডিজাইন করা হয়েছে। এগুলো আন্তর্জাতিক মানের পার্ক হবে।”