প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির আকার বাড়ল

স্বরাষ্ট্র ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভক্তি এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সচিবের একটি পদ সৃষ্টি হওয়ায় প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির আকার বাড়িয়েছে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Oct 2017, 02:31 PM
Updated : 22 Oct 2017, 02:31 PM

এই কমিটির সদস্য সংখ্যা ১১ থেকে ১৬ জনে উন্নীত করে রোববার কমিটি পুনর্গঠনের আদেশ প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

আগের মতোই মন্ত্রিপরিষদ সচিব এই কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে।

এছাড়া সুরক্ষা সেবা বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব, শিল্প সচিব, বাণিজ্য সচিব, পরিকল্পনা বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং অর্থ বিভাগের সচিব ছাড়াও প্রস্তাবক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব কমিটির সদস্য।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ গঠন করে সরকার। আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ভেঙে করা হয় সুরক্ষা সেবা বিভাগ এবং জননিরাপত্তা বিভাগ। এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সৃষ্ট হয়েছে সমন্বয় ও সংস্কার সচিবের পদ।

২০০৯ সালে আইন মন্ত্রণালয়কে ভাগ করে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এবং আইন ও বিচার বিভাগে ভাগ করে সরকার।

আগের কমিটিতে শিক্ষা, স্বরাষ্ট্র এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবদের রাখা হয়েছিল। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের বদলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিবের এই কমিটিতে বসার সুযোগ ছিল না।

আকারে পরিবর্তন আনা হলেও প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির কার্যপরিধি আগের মতই রাখা হয়েছে।

সরকারি কাজ পরিচালনার পদ্ধতি, দক্ষতা এবং সরকারি সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নে প্রশাসনিক ব্যবস্থার উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রস্তাব বিবেচনা করা এই কমিটির কাজ।

“একাধিক মন্ত্রণালয় বা বিভাগ সম্পৃক্ত এমন বিষয় বিবেচনা এবং মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, অধিদপ্তর সৃজন বা পুনর্গঠনের প্রস্তাব বিবেচনা করা।”

নতুন করপোরেশন, স্বশাসিত সংস্থার সৃজন কিংবা বিদ্যমান করপোরেশন, সংস্থার পুনর্গঠন সংক্রান্ত প্রস্তাব বিবেচনা; প্রশাসনিক দক্ষতা, দ্রুততা এবং ব্যয় সংকোচেনের মাধ্যমে সরকারি কর্মকাণ্ড সম্পাদন সম্পর্কীয় যে কোনো ধরণের বিষয় বিবেচনা করাও এই কমিটির কাজ।

এছাড়া প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটি সম্পূর্ণরূপে সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি সৃষ্টি, অবসান, বিভক্তি বা একীভূতকরণের প্রস্তাব বিবেচনা করে।