বাঙালী নদী থেকে বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

বগুড়ার ধুনটের বিলকাজুলী, শাকদহ, বথুয়াবাড়ি গ্রাম সংলগ্ন বাঙালী নদীর তীর থেকে ভারী যন্ত্র দিয়ে অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিত বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Oct 2017, 01:55 PM
Updated : 22 Oct 2017, 01:55 PM

একইসঙ্গে বাঙালী নদীতে অবস্থিত বাথুয়াবাড়িকে জেলার বালুমহালের তালিকা থেকে কেন বাদ দেওয়া হবে না; বাঙালী নদীকে আইন বহির্ভূত ও যান্ত্রিক পদ্ধতিতে বালু উত্তোলন থেকে রক্ষার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না এবং কেন নদীর প্রতিবেশ ব্যবস্থা ও তীরবর্তী কৃষিজমি, বাড়িঘর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ক্ষতি সাধনের দায়ে ইজারাদারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও দিয়েছে আদালত।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) জনস্বার্থে করা রিটের শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

ভূমি সচিব, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, বগুড়ার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (রাজশাহী বিভাগ), ধুনটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ধুনটের সহকারী কমিশনারসহ (ভূমি) ১৪ বিবাদিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে বেলার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

বিকালে বেলা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বগুড়ার ধুনট উপজেলা দিয়ে বয়ে চলা বাঙালী নদী সংলগ্ন বথুয়াবাড়ি, বিলকাজুলী ও শাকদহ গ্রাম।

এসব গ্রামের ১১ একর জায়গা জুড়ে ‘বথুয়াবাড়ি’ বালুমহাল থেকে বিলকাজুলী ও শাকদহ মৌজায় অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিতভাবে ভারি যন্ত্রের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ফলে নদীর প্রতিবেশ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এছাড়া ভারী যন্ত্র দিয়ে ইজারা বহির্ভূত এলাকা থেকেও যত্রতত্র বালু উত্তোলন করায় তিনটি গ্রামের নদী সংলগ্ন কৃষিজমি, বসতবাড়ি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

এসব বিষয় উল্লেখ করেই গত সপ্তাহে হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন করে বেলা।