বৃষ্টি চলবে দিনভর

নিম্নচাপের কারণ সারা বাংলাদেশেই দিনভর বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর; সমুদ্রবন্দরগুলোতে রাখা হয়েছে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সঙ্কেত।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Oct 2017, 06:45 AM
Updated : 21 Oct 2017, 01:59 PM

স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে শুক্রবার থেকে বৃষ্টি ঝরছে প্রায় সারাদেশে। শনিবারও সকালেও তা অব্যাহত চলছে।

শনিবার সকাল থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় গোপালগঞ্জে সর্বোচ্চ ২৭১ মিলি মিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর, এই সময়ে ঢাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১৪৯ মিলি মিটার।

মধ্যাঞ্চলের টাঙ্গাইলে ১৪৬ মিলি মিটার, মাদারীপুরে ১৭১ মিলি মিটার, ফরিদপুরে ১৪৯ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

উপকূলীয় প্রায় সব এলাকাতেই প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীর মাইজদীতে ১৯৫ মিলি মিটার, হাতিয়ায় ১০৩ মিলি মিটার, চাঁদপুরে ১৩৭ মিলি মিটার, বরিশালে ১৮৬ মিলি মিটার, পটুয়াখালীতে ১৬৪ মিলি মিটার, ভোলায় ৮৩ মিলি মিটার, খুলনায় ১৬৩ মিলি মিটার, মংলায় ১৩০ মিলি মিটার, যশোরে  ১৬২ মিলি মিটার, সাতক্ষীরায় ১২৩ মিলি মিটার, চুয়াডাঙ্গায় ১০২ মিলি মিটার, কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ১৫১ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

রাজশাহী বিভাগের ঈশ্বরদীতে ১৩৯ মিলি মিটার এবং সিরাগঞ্জের তাড়াশে ১৩৬ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হলেও রংপুর বিভাগের বৃষ্টিপাতের পরিমাণ তুলনামূলক কম। বৃষ্টি কম সিলেট অঞ্চলেও।

আবহাওয়া বিভাগের শনিবার সকালের বুলেটিনে বলা হয়, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও ভারতের উড়িষ্যা এলাকায় অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি সকাল ৯টায় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর/উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে।

নিম্নচাপটির অবস্থান, যার প্রভাবে চলছে বৃষ্টিপাত

নিম্নচাপের প্রভাবে বায়ু চাপের তারতম্য এবং গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হওয়ায় দেশের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে আভাস আবহওয়া অধিদপ্তরের।

আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টিপাত কমে আসবে বলে আভাস দেওয়া হয়েছে।

নিম্নচাপের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

উত্তাল সাগর, ঢেউ আছড়ে পড়ছে পতেঙ্গা সৈকতে

বুলেটিনে বলা হয়েছে, নিম্নচাপের কারণে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরিশাল,পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠী, পিরোজপুর, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর স্বাভাবিকের চেয়ে ১-২ ফুট বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।