ভোলার এই সাংসদের বিরুদ্ধে গত বুধবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় একটি জিডি করেছেন বোরহানউদ্দিন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খোকন।
জিডিতে তিনি অভিযোগ করেন, “বিবাদি (আলী আজম) তার মোবাইল ফোন থেকে ফোন দিয়ে আমাকে গালিগালাজ করে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদান করে, আমাকে মেরে ফেলবে এবং আমার পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি প্রদান করেন।”
খোকন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় এমপি আলী আজম মোবাইল ফোনে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেন।”
তার এই অভিযোগ নাকচ করে সংসদ সদস্য আলী আজম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা খোকন ‘মাদকাসক্ত’। এখন তিনি জামায়াতে ইসলামীকে ‘ইন্ধন’ দিচ্ছেন।
ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন-দৌলতখান) আসনের সাংসদ আলী আজম আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলির সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদের ভাতিজা।
খোকন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এমপি একজন সম্মানিত ব্যক্তি, কিন্তু ভোলার মানুষ তাদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে, ভোলার মানুষ নির্যাতিত, নিপীড়িত। আওয়ামী লীগ ১০ বছর ধরে ক্ষমতায়, তারা কিচ্ছু পায়নি। এই বিষয়ে আমি ফেইসবুকে দুই-একটা স্ট্যাটাস দিয়েছি, কিন্তু আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলি না, আমি ছাত্রলীগের মুজিব আদর্শের সৈনিক।”
তিনি বলেন, “আজকে হাইব্রিড দ্বারা আওয়ামী লীগ চলবে কেন, সেই বিষয়ে আমি মাঝে মাঝে লিখি। এই কথাগুলো আমি যখন ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছি তখন আমার এমপি আমাকে ঢাকা থেকে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলার হুমকি, আমার ফ্যামিলিকে হুমকি দিচ্ছে মেরে ফেলবে। আমার বাড়িতে রাত ২টায় তার সন্ত্রাসী বাহিনী পাঠায়, আমার বড় ভাইকে তুলে নিয়ে আসে।”
সাংসদের মোবাইলে ‘হুমকির’ অডিও রেকর্ড থাকার যে দাবি খোকন করেছেন সে বিষয়ে আলী আজম বলেন, “ওখানে কী আছে সেটা বাজিয়ে দেখেন। ওইটা ভিত্তিহীন রেকর্ড, আজকাল মানুষের ভয়েস চেঞ্জ করে অনেক কিছু করা যায়।”