সারাদিনই বৃষ্টির আভাস

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি স্থলভাগে উঠে আসায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে বৃষ্টি, যা শনিবার সকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।  

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Oct 2017, 08:31 AM
Updated : 20 Oct 2017, 11:51 AM

বিরূপ আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল থাকায় দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোর জন্য তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত বহাল রাখা হয়েছে আবহাওয়ার সর্বশেষ বুলেটিনে।

শুক্রবার সকালে আবহাওয়ার বুলেটিনে বলা হয়, উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে সকাল ৬টার দিকে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়। ওই সময় নিম্নচাপটি উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিল।

“এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে এবং গভীর সঞ্চালণশীল মেঘমালা তৈরি হচ্ছে।”

নিম্নচাপের কারণে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবারও দিনভর তা চলতে পারে বলে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন।

শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই সময়ে খেপুপাড়ায় দেশের সবচেয়ে বেশি- ৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে।

আর রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়ার সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠী, পিরোজপুর, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে এক থেকে দুই ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।