মুক্তি মিলছে না এমপি রানার, রুল নিষ্পত্তির আদেশ

মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার জামিন স্থগিত রেখে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে হাই কোর্টে রুল নিষ্পত্তি করার আদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Oct 2017, 06:02 AM
Updated : 19 Oct 2017, 06:02 AM

এমপি রানাকে হাই কোর্টের দেওয়া জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিলের নিষ্পত্তি করে অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেয়।

রানার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রোকনউদ্দিন মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

টাঙ্গাইলের সাংসদ রানা বর্তমানে কারা তত্ত্বাবধানে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জামিন না মেলায় আপাতত তার মুক্তি হচ্ছে না বলে আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য ফারুক আহমেদকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। ওই মামলায় টাঙ্গাইল- ৩ (ঘাটাইল) আসনের এমপি রানাকে প্রধান আসামি করে এবং তার তিন ভাইসহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

দীর্ঘদিন পালিয়ে থেকে সাংসদ রানা গত ১৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠান বিচারক। জেলা ও দায়রা জজ তার জামিন আবেদন নাকচ করে দিলে এই সাংসদ হাই কোর্টে আবেদন করেন।

কয়েক দফা চেষ্টার পর বিচারপতি এম এন চৌধুরী এবং এ এন এম বশির উল্লাহর হাই কোর্ট বেঞ্চ ১৩ এপ্রিল এমপি রানাকে অন্তবর্তীকালীন জামিন দেয়। তাকে কেন স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়।

কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ গত ৮ মে জামিনের আদেশ চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে দেয়।

এমপি রানা আপিল বিভাগের ওই আদেশ সংশোধনের জন্য গত ২৩ অগাস্ট আবেদন করলে তা শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার আদালতে আসে। সেইসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিলও শুনানির জন্য ওঠে। 

শুনানি শেষে আপিল বিভাগ সাংসদ আমানুর রানার জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ বজায় রাখার নির্দেশ দেয়।

সেই সঙ্গে জামিন প্রশ্নে হাই কোর্টের দেওয়া রুল ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয় আপিল বিভাগের আদেশে।

টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আবুল মনসুর মিয়া গত ৬ সেপ্টেম্বর এমপি রানা, তার তিন ভাইসহ ১৪ আসামির বিরুদ্ধ অভিযোগ গঠন করে ফারুক হত্যার বিচার শুরু করেন।

বুধবার ওই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর দিন থাকলেও অসুস্থার কারণে কারা কর্তৃপক্ষ আসামি রানাকে আদালতে হাজির না করায় শুনানি পিছিয়ে যায়।