মুদ্রা পাচার: মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ফের পিছিয়েছে

ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ আরেক দফা পিছিয়ে আগামী ৩০ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Oct 2017, 11:24 AM
Updated : 18 Oct 2017, 11:24 AM

বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম নূর নাহার ইয়াসমীন এ দিন ধার্য করেন।

পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী কমিশনার মিরাশ উদ্দিন জানান, গত ১ অগাস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম নুর নবী মামলার এজাহার গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১১ সেপ্টেম্বর দিন রেখেছিলেন। সেদিন প্রতিবেদন না জমা না হওয়ায় ১৮ অক্টোবর দিন রাখা হয়েছিল।

মামলাটি তদন্ত করছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে একটি গাড়ি ব্যবহারের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের দুই মাস পর গত ৩১ জুলাই মুসার বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান থানায় মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে এই মামলা করেন শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) মো. জাকির হোসেন।

‘কারনেট ডি প্যাসেজ’ সুবিধায় জনৈক ফারুক উজ-জামান চৌধুরীর নামে নিবন্ধিত ওই রেঞ্জ রোভার গাড়ি গত ২১ মার্চ মুসার ছেলের শ্বশুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। তারপর মুসাকে কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কার্যালয়ে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

ভোলা বিআরটিএর কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজসে ভুয়া কাগজ দিয়ে ওই গাড়ি রেজিস্ট্রেশন এবং বেনামে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার কথা ওই সময়ই জানিয়েছিল শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর।

এ ঘটনায় মঈনুল খানের ভাষ্য, মুসা বিন শমসের ১৭ লাখ টাকা শুল্ক পরিশোধ দেখিয়ে ভুয়া বিল অব এন্ট্রি প্রদর্শন করে গাড়িটি বেনামে রেজিস্ট্রেশন করেন। কিন্ত শুল্ক গোয়েন্দার অনুসন্ধানে দেখা যায়, ওই গাড়িতে ২ কোটি ১৭ লাখ টাকার শুল্ক প্রযোজ্য।

শুল্ক গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে মুসা লিখিতভাবে জানান, সুইস ব্যাংকে তার ৯৬ হাজার কোটি টাকা গচ্ছিত আছে। কিন্তু তিনি ওই টাকার কোনো ব্যাংক হিসাব বা বৈধ উৎস দেখাননি। কয়েকবার নোটিশ দিলেও তিনি তা জমা দেননি।

ওই তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে মুসার বিরুদ্ধে মামলা করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে সুপারিশও করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। পাশাপাশি ফাঁকি দেওয়া অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলার অনুমতি চাওয়া হয় রাজস্ব বিভাগের কাছে। সেই অনুমতি পাওয়ার পর মুসার বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচারের মামলাটি হয়।

পরে মামলার তদন্তের স্বার্থে মুসা বিন শমসের যেন দেশত্যাগ করতে না পারেন সেজন্য পুলিশ প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।