স্থানীয় সময় মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ বিষয়ে আলোচনা করেন স্পিকার।
সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্পিকার চলমান রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশে অব্যাহত প্রবেশের বিষয়ে মহাসচিবকে অবহিত করেন। তিনি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মানবিক সহায়তার পাশাপাশি এর জরুরি ও রাজনৈতিক সমাধানের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
রাখাইনে নির্যাতনের মুখে গত ২৫ অগাস্ট থেকে পালিয়ে পৌনে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এর আগে থেকে বাংলাদেশে রয়েছে আরও ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা।
এদের ফেরত নিতে মিয়ানমার অনাগ্রহ দেখিয়ে এলেও এবার শরণার্থীদের ঢল নামায় মিয়ানমার সারাবিশ্বে সমালোচনার মধ্যে রয়েছে।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে একটি ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠনের সিদ্ধান্তও নিয়েছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার।
এ বিষয়ে মহাসচিবের গতিশীল নেতৃত্ব, সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও দৃঢ় প্রতিশ্রুতির উপর বাংলাদেশের উচ্চ প্রত্যাশার কথা স্পিকার পুনর্ব্যক্ত করেন। একইসঙ্গে স্পিকার সুবিধাজনক যে কোনো সময়ে জাতিসংঘ মহাসচিবকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
একইদিন শিরীন শারমিন ইউএন-উইমেন এর নির্বাহী পরিচালক পুমজিরা ম্লামবো নুকার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে তিনি বাংলাদেশে নারীর সার্বিক ক্ষমতায়নে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। বিশেষ করে শ্রম বাজারে নারীর অংশগ্রহণ ত্বরান্বিত করতে ই-কমার্স ও আইটি খাতে নারীর দক্ষতা উন্নয়নে অধিকতর প্রশিক্ষণ দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।