মঙ্গলবার এই অনুমোদন দেওয়া হয় বলে দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানিয়েছেন।
গত ১৯ এপ্রিল রমনা থানায় বাপেক্সের হিসাব ও অর্থ শাখার জিএম আনোয়ারুলের বিরুদ্ধে দুদকের উপ-পরিচালক হেলাল উদ্দিন শরীফ এই মামলা করেন।
এতে তার বিরুদ্ধে ৩২ লাখ ১২ হাজার ৩৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
কমিশনের দেওয়া এক নোটিসের প্রেক্ষিতে আনোয়ারুল ইসলাম দুদকে যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন, তাতে ওই টাকার তথ্য গোপন রাখেন বলে তদন্তে প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রণব।
মামলা হচ্ছে বিউবোর সাকে প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে
ঘুষের মাধ্যমে অর্জিত সোয়া চার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মু. শহীদুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক।
এছাড়া কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগেও আরেকটি মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে সংস্থাটি।
দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, মঙ্গলবার কমিশন ওই দুইটি মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে। শহীদুল আলমের বিরুদ্ধে শিগগিরই মামলাগুলো করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দুদকের তথ্য, শহীদুল আলম বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে সহকারী প্রকৌশলী থেকে প্রধান প্রকৌশলী পর্যন্ত বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। ওই সময়ের মধ্যে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি কয়েক কোটি টাকা অর্জন করেছেন বলে অনুসন্ধানে প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধান প্রতিবেদন অনুসারে অভিযোগ, শহীদুল আলম অবৈধ টাকার উৎস্য গোপন করতে ঢাকায় স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে তার নামে সঞ্চয়ী হিসাব খুলে ২০০২ সালের ৯ জুলাই থেকে ২০০৫ সালের ২০ মার্চ সময়ের মধ্যে এক কোটি পাঁচ লাখ ৩৮ হাজার টাকা জমা করে পরে তুলে নেন।
এছাড়া যমুনা ব্যাংকের সোনারগাঁ রোড শাখায় সঞ্চয়ী হিসাবে ২০০৪ সালের ২৩ মার্চ থেকে ২০০৪ সালের ১৯ অক্টোবর পযন্ত এক কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা জমা করেন। পরে ভূয়া ব্যক্তি সাজিয়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৪টি এফডিআরের মাধ্যমে ওই অর্থ কৌশলে পাচার করেন।
অন্যদিকে সাউথ ইস্ট ব্যাংকের নিউ ইস্কাটন শাখায় শহীদুল আলম নিজের সরকারী পরিচয় গোপন করে প্রাইভেট ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে সঞ্চয়ী হিসাব খুলে ২০০৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০০৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর পযন্ত এক কোটি ৭৯ লাখ ১৬ হাজার ৪৫০ টাকা জমা করেন। পরবর্তিতে এক কোটি ৭০ লাখ টাকা নগদ উত্তোলন করেন।নিজ নামে এবং ভূয়া ব্যক্তি সাজিয়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১২টি এফডিআরের মাধ্যমে ওই অর্থ পাচার করেছেন তিনি।
এছাড়া ২০১০ সালের ১৪ জানুয়ারি কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ২৪ লাখ ৪২ হাজার ৪৯৫ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন শহীদুল আলম, যা তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ বলে দুদক জানিয়েছে।