বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মাসুদ সাদেকের সাহসী ভূমিকার কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী এক শোক বার্তায় বলেছেন, “জাতি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হারাল।”
প্রধানমন্ত্রী এই বীর মুক্তিযোদ্ধার আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
মুক্তিযোদ্ধা আবুল মাসুদ সাদেক সোমবার বিকালে ঢাকার বনানীতে নিজের বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
সহযোদ্ধাদের কাছে চুল্লু নামে পরিচিত মাসুদ সাদেকের বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি স্ত্রী ইয়াসমিন সাদেক, একমাত্র মেয়ে সানজানা সাদেককে রেখে গেছেন।
একাত্তরে ঢাকায় যে তরুণদের গেরিলা হামলা পাকিস্তানি বাহিনীকে অস্বস্তিতে ফেলেছিল, সেই ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য ছিলেন মাসুদ সাদেক। তৎকালীন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তাদের বোমা হামলার ঘটনাটি ছিল আলোচিত।
ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য শাফি ইমাম রুমী, বদিউল আলম বদি, আব্দুল হালিম চৌধুরী জুয়েলের সঙ্গে চুল্লুও যুদ্ধের এক পর্যায়ে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছিলেন। তিনি বেঁচে ফিরতে পারলেও অন্যরা শহীদ হন।
মাসুদ সাদেক চুল্লু সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এ এস এইচ কে সাদেকের ছোট ভাই এবং বর্তমান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের দেবর।