শিল্পী আর শিল্পপ্রেমীদের নতুন ঠিকানা ‘গ্যালারি কারিকর’

ঢাকায় চারুশিল্পী ও শিল্পপ্রেমীদের আড্ডা ও সম্মিলনের লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করল ‘গ্যালারি কারিকর’। 

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Oct 2017, 02:30 PM
Updated : 16 Oct 2017, 02:30 PM

সোমবার সন্ধ্যায় গুলশান এক নম্বরের ২৭ নম্বর রোডে এই গ্যালারির উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

যাত্রা শুরুর দিনে ‘লিজেন্ড অ্যান্ড কনটেম্পরারি’ শিরোনামে ১৫ দিনের একটি প্রদর্শনীও শুরু হয়েছে ‘গ্যালারি কারিকরে’। এতে ১১ জন শিল্পীর ৩৫টি চিত্রকর্মের পাশাপাশি ঠাঁই পেয়েছে চারটি ভাস্কর্য।

প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান, চিত্রশিল্পী রফিকুন নবী, মনিরুল ইসলাম, শাহাবুদ্দিন আহমেদ,সমরজিৎ রায় চৌধুরী, মর্তুজা বশীর, সৈয়দ জাহাঙ্গীর, আবুল বারক আলভী, শহীদ কবির, ফরিদা জামান।

প্রদর্শনী ঘুরে দেখার পর সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, “ঢাকার জনসংখ্যার অনুপাতে গ্যালারির সংখ্যা নেহায়েত কম। গ্যালারি না হলে শিল্পের সাথে শিল্পানুরাগীদের সংযোগ ঘটবে কি করে, শিল্পের বাজারই বা তৈরি হবে কেমন করে?

“নিরাপত্তা বা আর্থিক ইস্যুতে রাজধানীতে একের পর এক গ্যালারি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতে গুলশানের এই নতুন গ্যালারি  

শিল্পের সঙ্গে শিল্পী, শিল্পীর সঙ্গে শিল্পবোদ্ধার যোগাযোগ বাড়িয়ে শিল্পকর্মের বিকিকিনিও বৃদ্ধি করবে।”

পরে তিনি গ্যালারি কারিকরের কর্তাব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই গ্যালারি যেন শুধুমাত্র প্রদর্শনীতে সীমাবদ্ধ না থেকে শিল্প আলোচনা ও শিল্পসম্পর্কিত পড়াশোনারও একটি দারুণ কেন্দ্র হয়ে উঠে।

ব্যবসায়ী দম্পতি জিন্নাতুল করিম ও শিল্পী শাহানা মজুমদার, শিল্পী রেজাউল হক লিটন ও জামিল আকবর শামিমের উদ্যোগে যাত্রা শুরু করেছে গ্যালারি কারিকর। তিন কক্ষের ছোট্ট এই গ্যালারি সপ্তাহের সাতদিনই খোলা থাকবে।

রেজাউল হক লিটন বলেন, “ঢাকার এই অংশে তো গ্যালারি নেই। শিল্পবোদ্ধারাও চাইছিলেন এই প্রান্তে একটি গ্যালারি হোক। আমরা সবদিক বিবেচনা করে ক্ষুদ্র পরিসরে যাত্রা শুরু করেছি। গ্যালারির প্রদর্শনীর ক্ষেত্রে আমরা চিত্রকর্মের মান বিবেচনা করব। কিংবদন্তীদের পাশাপাশি এখানে সুযোগ পাবেন নতুন শিল্পীরা।”

লংগদুর সন্ত্রাসী হামলার ছবি নিয়ে প্রদর্শনী

দৃক গ্যালারিতে শুরু হয়েছে ‘ফিনিক্স অফ লংগদু’ শীর্ষক প্রদর্শনী।

রাঙামাটির লংগদুতে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী ঘটনা পরবর্তী ছবি স্থান পেয়েছে এ প্রদর্শনীতে। সেই বিভীষিকাময় ঘটনার ছাপ মানুষের মনে, ভাঙা ঘর-বাড়ি, মানুষের আক্রমণের চিহ্ন- এসব ছবি উঠে এসেছে প্রদর্শনীতে। একইসঙ্গে শিল্পীদের চিত্রকর্মও স্থান পেয়েছে এ প্রদর্শনীতে।

আয়োজকরা জানান, প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া চিত্রকর্মগুলো বিক্রি করে লংগদুতে সন্ত্রাসী হামলার শিকার মানুষদের পুনর্বাসন করা হবে। প্রদর্শনীর ছবিগুলো তুলেছেন মৃত্তিকা কামাল ও চিস্তি কানুন।

রোববার বিকালে ট্যারাকোটা ক্রিয়েটিভ আয়োজিত এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

অধ্যাপক মেসবাহ কামালের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য বঞ্চিতা চাকমা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জান্নাত-ই-ফেরদৌস।

প্রদর্শনীতে ৫০টি আলোকচিত্র ও ৭৫টি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে। প্রদর্শনী চলবে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত।