শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: এক মামলার রায় ২৯ অক্টোবর

২৮ বছর আগে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ফ্রিডম পার্টির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলার রায়ের দিন ঠিক হয়েছে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Oct 2017, 12:47 PM
Updated : 16 Oct 2017, 12:47 PM

রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে সোমবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জাহিদুল কবির আগামী ২৯ অক্টোবর রায় দেবেন বলে জানান।

মামলাটির বিচারে এত দেরির কারণ জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি  আবদুল্লাহ আবু বিডিনিউজ টোয়েন্টফোর ডটকমকে বলেন, “পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার কারণে দেরি হয়েছে।”

১৯৮৯ সালের ১০ অগাস্ট মধ্যরাতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে গুলি ও বোমা ছোড়া হয়েছিল। তখন বাড়িতেই ছিলেন শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নেতৃত্বে গঠিত দল ফ্রিডম পার্টির নেতা-কর্মীরা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে ওই হামলা চালিয়েছিল বলে পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে।

তখন বঙ্গবন্ধু ভবনের (বর্তমানে জাদুঘর) নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম একটি মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ফ্রিডম পার্টির সদস্য কাজল ও কবিরের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল অতর্কিত গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলা করে এবং হামলাকারীরা ‘কর্নেল ফারুক-রশিদ জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান দিতে দিতে পালিয়ে যায়।

এইচ এম এরশাদের আমলে এই হামলার ঘটনায় পরে বিএনপি ক্ষমতায় এলে মামলাটি গতি পায়নি।  

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর ১৯৯৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় ১২ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারালে মামলটি আবার নিশ্চল হয়ে পড়ে। শেখ হাসিনার দল পুনরায় ক্ষমতায় যাওয়ার পর ২০০৯ সালের ৫ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।

আসামিরা হলেন- গোলাম সারোয়ার ওরফে মামুন, জজ মিয়া, ফ্রিডম সোহেল, সৈয়দ নাজমুল মাকসুদ মুরাদ, গাজী ইমাম হোসেন, খন্দকার আমিরুল ইসলাম কাজল, মিজানুর রহমান, হোমায়েন কবির, মো. শাজাহান বালু, আবদুর রশীদ, জাফর আহম্মদ ও এইচ কবির।

আবদুল্লাহ আবু বিডিনিউজ টোয়েন্টফোর ডটকমকে বলেন, এই হামলার ঘটনায় হত্যার অভিযোগে একটি এবং বিস্ফোরক আইনে আলাদা মামলার বিচার হচ্ছে। দুটি মামলার রায় একদিনে হবে।

পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় মোট ১৯ বার চেষ্টা চালানো হয়েছিল বলে আওয়ামী লীগের নেতাদের ভাষ্য।  

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে হামলার মামলাটিতে এই বছরই রায় হয়। গত অগাস্টে দেওয়া এই রায়ে ১০ আসামির মৃত্যুদণ্ড হয়।

২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলার আলোচিত মামলাটির বিচারও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এই মাসেই মামলার যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ধার্য রয়েছে, তারপরই হবে রায়।