খাদ্য নিরাপত্তায় আইন প্রণয়নের দাবি

সব মানুষের জন্য সুষম খাবার নিশ্চিত করতে ‘খাদ্য অধিকার আইন’ প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে কয়েকটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার জোট ‌‘খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ’।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Oct 2017, 11:33 AM
Updated : 16 Oct 2017, 12:16 PM

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে খাদ্য অধিকার বিষয়ক এক প্রচারাভিযান থেকে এ দাবি জানান জোটের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ।

জোটের মহাসচিব মহসীন আলী বলেন, “এখনও দেশের ২৫ ভাগ লোক পর্যাপ্ত খাবার পায় না। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর এই অবস্থা হওয়ার কথা নয়। খাদ্য নিরাপত্তার জন্য নীতি আছে, বাস্তবায়নের লোক আছে, কিন্তু বাস্তবে এর সুফল আমরা পাচ্ছি না। কারণ এর বাস্তবায়ন সঠিকভাবে হচ্ছে না।

“খাদ্য নিরাপত্তা নীতি কার্যকর করতে হলে একে অধিকারের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখতে হবে। অধিকারের দৃষ্টিতে দেখতে হলে খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করতে হবে।”

সকালে র‌্যালি শুরুর আগে এক আলোচনা সভায় বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা- অবিলম্বে চালের দাম কমানো, ওএমএসের চালের দাম ৩০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৫ টাকা করা এবং আটা, ডালসহ সব ভোগ্য পণ্যের দাম কমানোর দাবি জানান।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতির কারণে আমরা অনেক সময় খাদ্য নিরাপত্তা দিতে গিয়ে হিমশিম খাই। মুনাফা লোভীদের এজেন্টরা সরকারি গুদামের তথ্য সংগ্রহ করে। তারপর সেই তথ্যের ভিত্তিতে তারা কিছুদিন আগে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

“জাতির জনক বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন সকলকে নিয়ে একটি সুষম উন্নয়ন। তাই তিনি পাঁচ সালা নীতি হাতে নিয়েছিলেন। কিন্তু তার সেই নীতি বাস্তবায়ন হতে দেয়নি পশ্চিমা মুক্তবাজার অর্থনীতির দালালরা,” বলেন তিনি।

খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ বলেন, বিশ্বে এখন নব্য উদারতাবাদ চলছে। কেউ এই উদারতাবাদের সমালোচনা করছে না। সবাইকে নিয়ে উন্নয়নের পথে হাঁটাই পশ্চিমা এই উদারতাবাদের স্লোগান।

একটি গোষ্ঠীর কারসাজির কারণে দেশে খাদ্যের বাজার অস্থিতিশীল হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন খলীকুজ্জমান।

“ধান্দাবাজদের কারণে দেশে খাদ্যের বাজার অস্থিতিশীল হচ্ছে। এরা চোরের চেয়েও মারাত্মক। ব্যাংক-বীমাসহ নানা সেক্টরে এদের হাত রয়েছে। ধরা পড়লেও তাদের বিচার হয় না।”

খাদ্য নিরাপত্তার জন্য আইন থাকা প্রয়োজন মন্তব্য করে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, আইন থাকলেই কেবল মানুষ তাদের অধিকারের বিষয়ে কথা বলতে পারবে।

খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ ছাড়াও একশন এইড, কেয়ার বাংলাদেশ, খ্রিস্টিয়ান এইড, নিটজ, ওয়ার্ল্ড ভিশন প্রতিনিধিরা আলোচনায় বক্তব্য রাখেন।