সেই সঙ্গে কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে এবং ঢাকনাযুক্ত পরিবহনের মাধ্যমে বর্জ্য পরিবহনে নগর কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সে বিষয়ে ৪৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।
আদালতে রিটকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন ও মাহফুজুর রহমান মিলন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
সিটি করপোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার দুই সিটির এক কোটি ৮০ লাখ মানুষের জীবন যাপনে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ হাজার টন বর্জ্য তৈরি হয়। নগর কর্তৃপক্ষ ৩৭৮টি খোলা ট্রাকে করে সেই বর্জ্য সরাতে গিয়ে আরও ছড়াচ্ছে বলে গত ৯ সেপ্টেম্বর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি দৈনিক পত্রিকা।
জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে আদালতে এই রিট আবেদনে করেন।
সোমবার শুনানির পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নির্ধারিত সময়ে এবং ঢাকনাযুক্ত ট্রাকে বর্জ্য পরিবহনে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন ‘অবৈধ’ ঘোষণা করা হবে না এবং সিটি করপোরেশন আইনের ৪১ ধারা অনুসারে একটি কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা করার নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে আদালত।
স্থানীয় সরকার সচিব, স্বারাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহা পরিচালক, দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সচিব, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা, ঢাকার জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনারসহ ১৫ বিবাদীকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালত আগামী ১০ ডিসেম্বর এ বিষয়ে শুনানির পরবর্তী তারিখ রেখেছে বলে জানান রিটকারী এ আইনজীবী।