শুক্রবার বিকালে এই পরীক্ষা শেষে ওই শিক্ষার্থীদের প্রার্থিতা বাতিল করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক রুনা লায়লা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূর মোহাম্মদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের আগে তাদের আটক করে মোবাইল জব্দ করা হয়। তাদের মোবাইলে থাকা প্রশ্নের সঙ্গে পরীক্ষার প্রশ্নের মিল পাওয়া যায়। সে কারণে পরীক্ষা শেষে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়।”
এই পরীক্ষার্থীরা হলেন- শওকত হোসেন চৌধুরী (রোল-১০৬৯৭৭), আয়শা আক্তার লতা (রোল-১০২৫৮৬), মেহেদী হাসান (রোল-১০৮২৬৮) ও নাজমুল ইসলাম (রোল-১০৫৩১৭)।
“পরে মোবাইলে রেখে তাদের পরীক্ষা দিতে দেয় কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষা শেষে চারজনের মধ্যে শওকত ও আয়শাকে খুঁজে পেয়ে তাদের প্রক্টর কার্যালয়ে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মুখোমুখি করা হয়। সেখানে তারা দুজনই আগেই প্রশ্ন পাওয়ার কথা জানিয়ে লিখিত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে আদালত চারজনের পরীক্ষা বাতিলের রায়ে দেয়।”
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান বলেন, “ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই।”
তিনি বলেন, “আমরা যে পদ্ধতিতে বার কোড, কালার কোড ও ভিন্ন ভিন্ন সেটে পরীক্ষা নিয়ে থাকি এসব ফাঁকি দেওয়া জালিয়াত চক্রের সাধ্যের বাইরে। আমরাই প্রথম পরীক্ষা সুষ্ঠু ও প্রশ্ন ফাঁস রোধে বারকোড ও কালার কোড পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছি। তা এখন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় অনুসরণ করছে।”
বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত জবিসহ ২৭টি পরীক্ষা কেন্দ্রে একযোগে এই ভর্তি পরীক্ষা হয়। এই ইউনিটের ৭৯৭টি আসনের বিপরীতে ৫৯ হাজার ৪৩৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার আবেদন করেছিলেন।