রোহিঙ্গা ত্রাণ কার্যক্রমের ‘অনুমতি পেয়েছে’ ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশন

যে তিনটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে (এনজিও) সরকার রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ তৎপরতা চালাতে নিষেধ করেছে বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে, তার মধ্যে আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশন ওই কাজের অনুমতি পাওয়ার কথা জানিয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Oct 2017, 04:11 PM
Updated : 13 Oct 2017, 04:11 PM

শুক্রবার ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ কার্যক্রম চালানোর বিষয়ে গত ১২ অক্টোবর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ‘অনাপত্তিপত্র’ পেয়েছে তারা। 

‘অনাপত্তি’ জানিয়ে এনজিও ব্যুরোতে পাঠানো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠির অনুলিপিও যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ‘তিন এনজিওকে রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণে বারণ’ শীর্ষক সংবাদে আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের নাম উল্লেখ থাকায় জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রদত্ত অনাপত্তিপত্র দ্বারা বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই।”

ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সরকারদলীয় সাংসদ আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করা হয় ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

ফাউন্ডেশনের প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক শাব্বির আহমদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তারাও ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের ত্রাণ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে।

ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশন যে তারিখে ‘অনাপত্তিপত্র’ পাওয়ার কথা বলছে, তার আগের দিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তিনটি এনজিওকে রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ তৎপরতা চালাতে নিষেধ করার কথা সংসদীয় কমিটিতে জানায়। 

ওই বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য মাহজাবিন খালেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এনজিও হিসেবে কাজ করতে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো থেকে অনুমতি নেওয়ার কথা থাকলেও ওই তিন সংস্থা তা নেয়নি।

“তারা অন্য কোনো কারণে সেখানে কাজ করছিল বলে মনে হয়েছে।”

সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উপস্থিত একজন কর্মকর্তা সেদিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আল্লামা ফয়লুল্লাহ ফাউন্ডেশন ছাড়াও মুসলিম এইড বাংলাদেশ ও ইসলামিক রিলিফের নাম রয়েছে ওই তালিকায়।