শুক্রবার ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ কার্যক্রম চালানোর বিষয়ে গত ১২ অক্টোবর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ‘অনাপত্তিপত্র’ পেয়েছে তারা।
‘অনাপত্তি’ জানিয়ে এনজিও ব্যুরোতে পাঠানো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠির অনুলিপিও যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ‘তিন এনজিওকে রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণে বারণ’ শীর্ষক সংবাদে আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের নাম উল্লেখ থাকায় জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রদত্ত অনাপত্তিপত্র দ্বারা বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই।”
ফাউন্ডেশনের প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক শাব্বির আহমদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তারাও ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের ত্রাণ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে।
ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশন যে তারিখে ‘অনাপত্তিপত্র’ পাওয়ার কথা বলছে, তার আগের দিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তিনটি এনজিওকে রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ তৎপরতা চালাতে নিষেধ করার কথা সংসদীয় কমিটিতে জানায়।
ওই বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য মাহজাবিন খালেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এনজিও হিসেবে কাজ করতে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো থেকে অনুমতি নেওয়ার কথা থাকলেও ওই তিন সংস্থা তা নেয়নি।
“তারা অন্য কোনো কারণে সেখানে কাজ করছিল বলে মনে হয়েছে।”
সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উপস্থিত একজন কর্মকর্তা সেদিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আল্লামা ফয়লুল্লাহ ফাউন্ডেশন ছাড়াও মুসলিম এইড বাংলাদেশ ও ইসলামিক রিলিফের নাম রয়েছে ওই তালিকায়।