জাতীয় শিশু অধিকার সপ্তাহ ও কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ঢাকার এফডিসিতে এক অনুষ্ঠান উদ্বোধনের সময় বক্তব্যে এই দাবি করেন তিনি।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি ও জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের যৌথ আয়োজনে তিন দিনব্যাপী ‘জাতীয় কন্যাশিশু দিবস বিতর্ক প্রতিযোগিতা’ উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী।
গত কয়েক বছরে আলোচিত বেশ কয়েকটি শিশু নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তুলে ধরে বিতার্কিক ও আলোচকরা বলেছিলেন, দেশে আগের তুলনায় শিশু নির্যাতন বেড়ে গেছে।
তার বিরোধিতা করে প্রতিমন্ত্রী চুমকি বলেন, “আমি কিছুতেই মেনে নিচ্ছি না যে শিশু নির্যাতন বেড়েছে।
“আগে এত চ্যানেল, এত পত্রিকা ছিল না। মানুষের কাছে দেশের সব খবর পৌঁছাত না এত সহজেই। নিউজ বেড়ে যাওয়ায় এখন তারা জানতে পারছে নির্যাতনের খবরগুলো। ফলে ধরে নিচ্ছে, আগের তুলনায় নির্যাতন বেড়েছে।”
নারী-শিশু নির্যাতনের ঘটনা আগেই বরং বেশি ছিল দাবি করে তিনি বলেন, “তখন আমরা সব খবর পেতাম না। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাশবিক নির্যাতনের কথা আমরা জানি, কিন্তু কত শিশু যে নির্যাতিত হয়েছে তা কি জানি? এর পরবর্তী সময়েও আমাদের দেশে বহু ঘটনা ঘটেছে, যা আমাদের নজরে আসত না।”
প্রতিমন্ত্রী দাবি করেন, সরকার, এনজিও ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপের ফলে শিশু নির্যাতনের হার দিন দিন কমছে।
“সরকার এখন অনেক তৎপর, অনেক সচেতন। যখন যে খবর জানতে পারছি আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এনজিওগুলোও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করছে।”
প্রতিমন্ত্রীর আগে বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, অপরাধীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরও শিশু নির্যাতনের মাত্রা কমছে না। প্রতিদিনই নির্যাতিত, লাঞ্ছিত শিশুদের সংবাদ শোনা যায়।
শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে ‘সরকারি আইনের প্রয়োগ নয়, জনসচেতনতা পারে শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ করতে’ বিষয়ক এই সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সরকারি দলের হয়ে অংশ নেয় মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, বিরোধী দলে ছিল ওয়াইডব্লিউসিএ গার্লস স্কুল ও কলেজ।
বিতর্কে জয় লাভ করে সরকারি দল। অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাসিমা আক্তার জলি ও দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। বিতর্ক অনুষ্ঠানে সার্বিক সহায়তা করেছে উইম্যান এন্ড গার্লস লীড গ্লোবাল ও হার চয়েজ।