আগামী ১৬ থেকে ১৮ অক্টোবর রাজধানীর ধানমন্ডির দৃক গ্যালারিতে এ প্রদর্শনী হবে বলে জানান টেরাকোটার পরিচালক মৃত্তিকা কামাল।
বৃহস্পতিবার ডিআরইউ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ আয়োজনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
এতে মৃত্তিকা কামাল বলেন, গত ২ জুন রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় চাকমা জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা চালায় সেটেলার বাঙালিরা। উপজেলার তিনটিলা, বাইত্যাপাড়া ও মানিকছড়া গ্রামে ২২৪ ঘরবাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। আনুমানিক ৪০০ পরিবার ওই হামলায় আক্রান্ত হয়েছে।”
প্রথম কয়েকদিনের পর থেকে তারা আর কোনো ধরনের সরকারি-বেসরকারি সহায়তা পায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, “তারা পাহাড় জঙ্গল থেকে আলু সংগ্রহ করে কোনো রকমে খেয়ে জীবন রক্ষা করছে।”
প্রদর্শনী থেকে পাওয়া অর্থ লংগদু হামলায় আক্রান্তদের সহায়তায় ব্যয় করা হবে বলে জানান আয়োজকরা।
সংবাদ সম্মেলনে ইতিহাসের শিক্ষক মেসবাহ কামাল বলেন, “সেখানে (লংগদুতে) যে দুর্ভিক্ষ অবস্থা, এর প্রতি দেশবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ ও আক্রান্তদের সহযোগিতার উদ্দেশ্যে এ প্রদর্শনী। আদিবাসী ককাসের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে।
“লংগদুর পোড়া আসবাবপত্রগুলো নিয়ে আসা হয়েছে। এগুলো প্রদর্শন করা হবে, যাতে দেশবাসী বুঝতে পারে সেখানকার পরিস্থিতি।”
লংঘদু হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের প্রতি যে অমানবিক সন্ত্রাস চালাচ্ছে, আমরা কি পাহাড়ে একই পরিস্থিতি সৃষ্টি করিনি।”
সংসদ সদস্য কবি কাজী রোজি বলেন, “সব বিপন্ন মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। আসুন মানুষের জন্য কাজ করি। আমি বানভাসী মানুষের কাছে গিয়েছি। রোহিঙ্গা শিবিরে গিয়েছি ত্রাণের ট্রাক নিয়ে। এখন লংগদুর বিষয়টি নিয়ে একাত্ম হয়েছি।”
সভাপতির বক্তব্যে সঞ্জীব দ্রং বলেন, “বাংলাদেশ অনেক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। একের পর এক বড় বড় ঘটনা ঘটছে। সেই সব ঘটনার আড়ালে লংগদুতে সহিংসতার শিকার মানুষের কথা আমরা যেন ভুলে না যাই।”
দৃক গ্যালারির দুটি ফ্লোরে ১৬ থেকে ১৮ অক্টোবর প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে প্রদর্শনী।
প্রদর্শনীতে ৫০টি ছবি ও ৮০টি হাতে আঁকা ছবি বিক্রির জন্য তুলে ধরা হবে। এছাড়া ঐতিহ্যবাহী খাবার, পোশাক ও বিভিন্ন রকম স্মারক বিক্রি করা হবে প্রদর্শনীতে।