বুধবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঢাকার উত্তরাংশে বনানী থেকে দক্ষিণের মতিঝিল, গুলিস্তান পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকার বিভিন্ন সড়কে যানজটে ভোগান্তির কথা বলেছেন ভুক্তভোগীরা।
রাস্তার এই পরিস্থিতির কারণ জানতে চাইলে পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের অপরাধ বিষয়ক প্রধান প্রতিবেদককে জানানো হয়, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের চলাচলের জন্য বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
ওই সময় প্রায় ৪৫ মিনিট রাস্তায় গাড়ি চলতে দেওয়া হয়নি বলে তেজগাঁও এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশের একজন সহকারী কমিশনার জানান।
কিশোরগঞ্জ সফর শেষে হেলিকপ্টারে করে বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছান রাষ্ট্রপতি। ঢাকা পৌঁছে তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মেয়ে ও জামাতাকে দেখতে যান। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে পৌঁছান বলে জানান একজন কর্মকর্তা।
এই সময় জাহাঙ্গীর গেইট থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত ভিআইপি সড়ক বন্ধ থাকলেও তার প্রভাব আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ সব সড়কেই পড়ে।
বিকাল পৌনে ৬টার দিকে সদরঘাট থেকে রওনা হয়ে মহাখালীতে অফিসে আসার পথে যানজটে পড়েন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের একজন বার্তা সম্পাদক। সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় তিনি পৌঁছান কাকরাইল মোড় পর্যন্ত।
সুস্মিতা কর নামের একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, বিকালে মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে রওনা হয়ে বাংলামোটর পৌঁছাতে তার লেগেছে আড়াই ঘণ্টা।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা রাতুল দেব জানান, বিকালে মতিঝিল থেকে রওনা হয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা পর তিনি মহাখালী ডিওএইচএসে পৌঁছাতে পেরেছেন।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মহাখালীর সরকারি তিতুমীর কলেজের সামনে যানজটের মধ্যে কথা হয় একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্মের কর্ণধার রাজীব আহসানের সঙ্গে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “গুলশান-১ থেকে ধানমণ্ডিতে যাচ্ছি বাসায়। কিন্তু বাস তো নড়ছেই না। এই তিতুমীরের সামনেই পনের মিনিট ধরে বসা।”
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরে শুভ্রজিৎ কুমার মণ্ডল জানান, তার চিকিৎসকের অ্যাপয়নমেন্ট ছিল ধানমণ্ডিতে। কিন্তু যানজটের কারণে তিনি সময়মত পৌঁছাতে পারেননি।