প্রাথমিকের ল্যাপটপ কেনায় ‘দুর্নীতি’ তদন্ত হবে

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য আমদানি করা ৫০ হাজার ল্যাপটপ কেনায় দুর্নীতি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখবে সংসদীয় কমিটি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Oct 2017, 01:57 PM
Updated : 11 Oct 2017, 01:57 PM

বুধবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ লক্ষ্যে একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির সদস্য উম্মে রাজিয়া কাজল সাংবাদিকদের বলেন, কমিটির সদস্য আবুল কালামকে আহ্বায়ক করে আলী আজম ও মো. ইলিয়াসকে সদস্য করে এই উপ-কমিটি করা হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

আমদানি করা ওই সব ল্যাপটপ মানসম্মত কি না, দরপত্রের শর্ত অনুসারে এগুলো সরবরাহ হয়েছে কি না এবং এতে কোনো দুর্নীতি হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে তাদের।

গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের (পিইডিপি-৩) অধীনে গত বছরের মে মাসে ৫০ হাজার ল্যাপটপ কেনার দরপত্র আহ্বান করা হয়।ওই দরপত্রে আটটি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। পরে শর্তভঙ্গের অভিযোগে সর্বনিম্ন দরদাতা দুটি প্রতিষ্ঠানের আবেদন বাতিল করা হয়।

সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য স্বতন্ত্র কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে কমিটি। স্কুল ফিডিং নীতিমালা প্রণয়নও দ্রুত সম্পন্ন করার সুপারিশ করেছে তারা।

এছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তথ্যভাণ্ডারের আওতায় বাংলাদেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়কে যুক্ত করার কার্যক্রম দ্রুত শেষ করা এবং সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উন্নতমানের প্লাস্টিকের ফার্নিচার সরবরাহের সুপারিশ করেছে কমিটি।

বৈঠকে আগামী বছর জানুয়ারি মাসের মধ্যে বাংলাদেশে ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকের অনুপাত (৪০:১) করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক/শিক্ষিকার পদ সৃজন এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০১৮ সালের এনসিটিবি কর্তৃক বই ছাপানোর কার্যক্রম দ্রুত শেষ করার সুপারিশ করা হয়।

কমিটির সভাপতি মো. মোতাহার হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, কমিটির সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, সামশুল হক চৌধুরী, নজরুল ইসলাম বাবু, আবুল কালাম, আলী আজম ও উম্মে রাজিয়া কাজল অংশ নেন।