যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন, চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামকে চেয়ারম্যান করে ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Oct 2017, 12:18 PM
Updated : 11 Oct 2017, 01:34 PM

বুধবার আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

ট্রাইব্যুনালে নতুন সদস্য করা হয়েছে হাই কোর্টের বিচারপতি আমির হোসেন এবং পিআরএলে থাকা জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু আহমেদ জমাদারকে।

গত ১৩ জুলাই বিচারপতি আনোয়ারুল হকের মৃত্যুর পর থেকেই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান পদ খালি ছিল।

ট্রাইব্যুনালে বিচারপতি শাহিনুরের সঙ্গে সদস্য হিসেবে থাকা মো. সোহরাওয়ার্দী হাই কোর্টে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করায় তিনি সেখানে যাচ্ছেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ বিচারপতি নিজামুল হককে চেয়ারম্যান, বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ এ কে এম জহির আহমেদকে সদস্য করে গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এরপর আরও তিনজনকে যোগ করে প্রথম ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ টি এম ফজলে কবীরকে চেয়ারম্যান করে ২০১২ সালের ২৩ মার্চ দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়। তিন সদস্যের দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই বিচারক হন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং ট্রাইব্যুনালের নিবন্ধক মো. শাহীনুর ইসলাম। বিচারপতি ফজলে কবীরের স্থলে প্রথম ট্রাইব্যুনালে সদস্য করা হয় বিচারপতি আনোয়ারুল হককে।

ওই বছরের অগাস্টে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জহির আহমেদ পদত্যাগ করলে শূন্যস্থানে সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেনকে নিয়োগ দেয় সরকার।

স্কাইপে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথিত কথোপকথন নিয়ে বিতর্কের মুখে বিচারপতি নিজামুল হক পদত্যাগ করলে ফজলে কবীরকে চেয়ারম্যান করে ১ নম্বর ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়। তিনি অবসরে যাওয়ার পর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান হিসাবে আসেন। এই ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য ছিলেন জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক।

দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসাবে ছিলেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। সঙ্গে ছিলেন বিচারপতি মো. মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. শাহীনুর ইসলাম।

২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে দুই ট্রাইব্যুনালকে একীভূত করা হয়। এরপর থেকেই বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক একীভূত ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে ছিলেন। আগে থেকেই ট্রাইব্যুনালে থাকা বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের সঙ্গে ওই সময় যোগ দিয়েছিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী।