আহত ছাত্র ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। এ মাসে হলের মেসের ম্যানেজারের দায়িত্বে আছেন তিনি।
ফারুককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পেটের ডান পাশে ছাড়াও ডান হাতের তিন জায়গায় ছুরিকাঘাত করা হয়েছে তাকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র আবু জোবায়ের তালহা তাকে ছুরিকাঘাত করেন বলে প্রক্টর জানিয়েছেন।
লেখাপড়া শেষে হওয়ার পরেও তালহা হলের ১৬৬ নম্বর কক্ষে থাকতেন। হল শাখা ছাত্রলীগের বিগত কমিটির আগের কমিটিতে সদস্য হিসেবে ছিলেন তিনি। ঘটনার পরে তিনি হল থেকে পালিয়ে গেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী হলের মেস কমিটির সদস্য বাংলা বিভাগের ছাত্র বদিউজ্জামান সুফি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তালহার এক ছোট ভাই (বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার্থী) দুপুরে হলের মেস থেকে তার খাবার নিতে আসেন।
“কিন্তু বেশি করে খাবার নিতে চাইলে তাকে বাধা দেয় মেস ম্যানেজার ওমর ফারুক। তালহা একথা শুনে ফারুকের ৭৯ নম্বর কক্ষে গিয়ে তাকে না পেয়ে তার রুমমেটদের হুমকি দিয়ে আসে। পরে রাত ১০টার দিকে মেসে ফারুককে পেয়ে চাকু মারে তালহা।”
প্রক্টর আমজাদ আলী বলেন, এ ঘটনায় আবু জোবায়ের তালহার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহবুবুল আলম জোর্য়াদার বলেন, ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
“একদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত ছাত্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”