রোববার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আবু সালেহ সালাউদ্দিন তার সাক্ষ্য নেন।
সাক্ষ্যে ইমরান বলেন, ওই রাতে রনিকে প্রাইভেটকারে নিয়ে সোনারগাঁও হোটেল থেকে বেরিয়ে মগবাজার মোড় হয়ে ইস্কাটনের বাসার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। সে সময় ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজের জন্য রাস্তার একপাশ বন্ধ ছিল।
“আমাদের গাড়ির বাঁ দিকে ও পেছনে দুটি ট্রাক ছিল। রাস্তায় ছিল জ্যাম। জ্যামে আটক অবস্থায় রনি সাহেব এক পর্যায়ে হাত বের করেন। এর কিছুক্ষণ পর গুলির শব্দ শোনা যায়।”
২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল রাতে নিউ ইস্কাটনে একটি গাড়ি থেকে ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে একজন অটোরিকশা চালক ও এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়।
মহিলা আওয়ামী লীগ নেতা ও সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ পিনু খানের ছেলে রনি মদ্যপ অবস্থায় গাড়িতে বসে ওই গুলি চালিয়েছিলেন বলে পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে আসে।
এরপর ওই বছরের ৩১ মে রনি ও তার গাড়িচালক ইমরানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ১ জুন গাড়িচালক ইমরান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
এদিন সাক্ষ্যে ইমরান বলেন, গুলিবর্ষণের ওই ঘটনার পর সেখান থেকে বেরিয়ে প্রথমে গাড়ি থেকে রনির বন্ধু ‘টাইগার কামালকে’ এবং তার কিছুক্ষণ পরে কন্ট্রাক্টর জাহাঙ্গীরকে নামিয় দেন তিনি।
পরে রনিকে তার ইস্কাটনের বসায় নামিয়ে দিয়ে নিজের বাসা মোহাম্মদপুরে ফিরে যান।
তাকে নিয়ে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ২৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে বলে এ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. মাকসুদ জানিয়েছেন।
সাক্ষ্যগ্রহণকালে আসামি বখতিয়ার আলম রনিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
সাক্ষ্য শেষে ইমরানকে আসামির আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হীরু জেরা করেন।