তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানিয়েছেন, রোববার ভার্জিনিয়ার রিজ কার্লটন হোটেলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে এক মত বিনিময় অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
ওয়াশিংটন থেকে প্রেস সচিব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গলব্লাডার অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকরা প্রধানমন্ত্রীকে পূর্ণ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিলেও তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেট থেকে আসা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
“পদ্মা সেতুর দৃশ্যমান হয়ে ওঠায় প্রধানমন্ত্রী নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় আনন্দ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘প্রমাণ হয়েছে, আমরাও পারি’।”
২০১৫ সালের ডিসেম্বর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মা সেতুর মূল কাজ শুরুর পর শনিবার সকালে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের প্রথম স্প্যানটি বসানো হয়। সেতুর ৪২টি পিলারের ওপর মোট ৪১টি স্প্যান বসানো হলেই শেষ হবে রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ জনপদের সরাসরি সড়ক যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ এই সেতু।
এই প্রকল্পে কানাডীয় একটি কোম্পানিকে পরামর্শকের কাজ পাইয়ে দিতে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে সেদেশে একটি মামলা হয়েছিল, যা রায়ে নাকচ হয়ে যায়। একই অভিযোগে বাংলাদেশে দুদক মামলা করলেও তদন্ত শেষে অভিযোগের কোনো প্রমাণ না পাওয়ার কথা জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কথায় সেসব প্রসঙ্গও আসে জানিয়ে তাকে উদ্ধৃত করে প্রেস সচিব বলেন, “এটা ছিল একটা বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের জন্য একটা বড় সিদ্ধান্ত, কারণ এর সঙ্গে দেশের ভাবমূর্তি জড়িত ছিল।
“এত বড় আর খরস্রোতা একটা নদীর ওপর এত বড় একটা সেতু নির্মাণ করে আমরা বিশ্বের সামনে একাট উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলাম।”
দলীয় সভানেত্রীর দেখা পাওয়ার আশায় আওয়ামী লীগের কয়েকশ নেতাকর্মী রোববার বিকালে জড়ো হয়েছিলেন ওই হোটেলে। তাদের সামনে নিজের রাজনৈতিক আদর্শ তুলে ধরে মানুষের কল্যাণের ওপর জোর দেন শেখ হাসিনা।
তাকে উদ্ধৃত করে প্রেস সচিব বলেন, “আমরা রাজনীতি করি মানুষের জন্য। আমরা কাজ করি মানুষের জন্য। আর আমরা যে তা পারি, তা করে দেখিয়েছি।”
স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের মানুষ এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বলেও প্রেস সচিব জানান।