অন্য দুটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- রিজেন্ট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং মেডিক হেলথ ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্টেট সারোয়ার আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সোমবার দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই তিন প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালান তারা।
মিরপুর ১০ নম্বরে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে দেখা যায় সেখানে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য যে রাসায়নিক উপাদান ব্যাবহার করা হয় তার অধিকাংশই মেয়াদোত্তীর্ণ। এছাড়া পরীক্ষার খালি ফরম আগে থেকেই স্বাক্ষর করা অবস্থায় পাওয়া যায়, কর্মচারীরাই পরীক্ষার প্রতিবেদন ফরমে স্বাক্ষর করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এই দুই অপরাধের জন্য এই প্রতিষ্ঠানকে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয় বলে জানান তিনি।
এরপর মিরপুর ১২ নম্বরে রিজেন্ট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয় জানিয়ে সারোয়ার আলম বলেন, এই প্রতিষ্ঠানে বেশ কয়েকটি ত্রুটি ধরা পড়ে। রক্ত পরিসঞ্চালনে তারা নিয়ম মানছে না। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমতিও তাদের নেই। আবার রক্ত পরিসঞ্চালনের ক্ষেত্রে যে সব রেকর্ড রাখার কথা তা নেই।
“এই প্রতিষ্ঠানের ওষুধ বিক্রি কেন্দ্রে ৬০ টাকার ওষুধ ৫০০ টাকায় বিক্রি করার প্রমাণ মেলেছে। আবার অনুমোদনহীন ভারতীয় ওষুধও পাওয়া গেছে। তাদের অপারেশন থিয়েটারে রান্না করার ব্যবস্থা রয়েছে।”
এই হাসপাতালকেও ছয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিকালে মিরপুর ১২ নম্বরে মেডিক হেলথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযানে যায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
“সেখানে পরীক্ষা না করে প্রতিবেদন দেওয়া, খালি ফরমে স্বাক্ষর রাখাসহ বেশ কিছু ত্রুটি পাওয়া গেছে। এজন্য এই প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়,” বলেন সারোয়ার।
জরিমানার সব টাকা নগদ আদায় করা হয়েছে বলে জানান তিনি।