সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রোববার বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অণুবিভাগের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং এক্সেস টু সার্ভিস-আইডিইএ প্রকল্পের মেয়াদ ডিসেম্বরে শেষ হচ্ছে।
‘ভোটার তালিকা প্রস্তুত এবং জাতীয় পরিচিতি সেবা প্রদানে টেকসই অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক নতুন একটি প্রকল্পে আইডিইএ’র টেকনিক্যাল এক্সপার্ট ও সাপোর্টাদের সরাসরি পদায়ন ও উচ্চতর গ্রেড দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
রোববার নতুন এ প্রকল্প প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূলায়ন কমিটিতে (পিইসি) পাঠানো হয়। এরপর সকালে ও বিকালে শেরে বাংলানগরে নির্বাচন ভবনে ইলেকশন কমিশন অফিসার্স এসোসিয়েশন ও কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ প্রতিবাদ জানায়।
রোববার এ বিষয়ে এসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইসির উপ-সচিব মো. নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, “নতুন প্রকল্প প্রস্তাব নিয়ে ইসির কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ-ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত সচিবের কাছে ঐক্যপরিষদ প্রতিবাদ জানিয়েছে। সোমবার এসোসিয়শন ও ঐক্যপরিষদ মিলে সমন্বয় পরিষদের পক্ষ থেকে যৌথ কর্মসূচি দিতে পারে।”
কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের কর্মকর্তারা জানান, চলমান প্রকল্পের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট ও সাপোর্টারদের সরাসরি আত্তীকরণের প্রস্তাব রাখা হয়েছে নতুন প্রকল্পে। বর্তমানে তারা দশম গ্রেডে চাকরি করলেও নতুন প্রকল্পে তাদের ষষ্ঠ গ্রেডে রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা ইসির অর্গানোগ্রামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এছাড়া পাঁচ বছর পর তাদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের কথাও বলা হয়েছে।
“এ প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে টেকনিক্যাল এক্সপার্ট ও সাপোর্টাররা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সিনিয়র হিসেবে বিবেচিত হবেন, যদিও এত বছর ধরে তাদের অধীনে চাকরি করছেন। এছাড়া প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ সংক্রান্ত প্রস্তাব নিয়েও ইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে,” বলেন একজন নির্বাচন কর্মকর্তা।
প্রকল্পের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট ও সাপোর্টারদের নতুন প্রকল্পে আত্তীকরণের দাবিতে গেল সপ্তাহে চার দিন প্রতিবাদ কর্মসূটি পালন করে।
বৃহস্পতিবার ইসি সচিবালয়ের পক্ষ থেকে ‘ভোটার তালিকা প্রস্তুত এবং জাতীয় পরিচিতি সেবা প্রদানে টেকসই অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক নতুন একটি প্রকল্পে তাদের আত্তীকরণের বিষয়টি যুক্ত করলে কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেয়।