সামনের দিনগুলোতে আরও জরুরি ত্রাণ সরবরাহ পাইপলাইনে রয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের এই সংস্থার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
জরুরি এসব সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে- ডিটারজেন্ট পাউডার, সাবান, পানির পাত্র, ন্যাপি, পরিষ্কার রুমাল, তোয়ালে ও স্যান্ডাল।
এছাড়াও ইউনিসেফ পানি শোধন ও পরিবহনের ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে সহায়তা করছে এবং নলকূপ বসানোর ক্ষেত্রেও সহযোগী সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
“মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ এসব শিশুদের রক্ষায় আমাদের সামনে বিশাল কাজ অপেক্ষা করছে।
মিয়ানমারে সহিংসতার মুখে গত ২৫ অগাস্ট থেকে প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ শিশু বলে প্রাথমিক ধারণা। ব্যাপক সংখ্যক এই শরণার্থীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার ও শরণার্থী সংস্থাগুলো।
আগামী চার মাসের জন্য রোহিঙ্গা শিশুদের সহায়তায় ইউনিসেফ ৭৩ লাখ ডলার সাহায্য চেয়েছে।
৯১ মেট্রিক টন ত্রাণ সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে আশ্রয় সরঞ্জাম, জেরি কেন, কম্বল ও বিছানাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রয়েছে।
একহাজার ৭০০ তাবু নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দেওয়া সহায়তার দ্বিতীয় চালানও এর মধ্যে পৌঁছেছে।
দুই চালানে প্রায় ২৫ হাজার মানুষের তাৎক্ষণিক চাহিদা মেটাবে। আরও ১ লাখ ২০ হাজার শরণার্থীর জন্য ত্রাণ বহনের ফ্লাইট প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে ইউএনএইচসিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।