মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল নবম-দশম শ্রেণির গণিত, উচ্চতর গণিত, বিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও জীব বিজ্ঞানের পরিমার্জিত বই মন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
এর আগে বাংলা সাহিত্য, ইংলিশ ফর টুডে, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, বাংলাদেশ ও বিশ্ব সভ্যতা এবং অর্থনীতির পরিমার্জিত বই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করেন শিক্ষাবিদরা।
হিসাববিজ্ঞানের পরিমার্জিত বই শিগগিরই পাওয়া যাবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে পরিমার্জিত বই তুলে দেওয়া হবে।
শিক্ষাবিদদের সুপারিশের ভিত্তিতে মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যক্রম পর্যালোচনা করে পাঠ্যপুস্তক আরও সুখপাঠ্য, আকর্ষণীয় ও সহজ করতে গত ৮ জানুয়ারি দুটি কমিটি করে সরকার।
একটি কমিটিকে ২০১২ সালের পাঠ্যক্রম পর্যালোচনা করে পাঠ্যবই আরও পাঠযোগ্য করার সুপারিশ এবং আরেক কমিটিকে নবম-দশম শ্রেণির কয়েকটি বই পরিমার্জন করে সুখপাঠ্য, আকর্ষণীয় ও সহজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
মাধ্যমিক স্তরের পরিমার্জন হওয়া ১১টি বই হাতে পাওয়ার কথা জানিয়ে নাহিদ বলেন, পর্যায়ক্রমে মাধ্যমিকের অন্যান্য শ্রেণির বইগুলোও পরিমার্জন করা হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন বলন, “এবারের যে বড় কাজটি হয়েছে, আমার মনে হয় সেটি সকল মহলে প্রশংসিত হবে এবং আমাদের ছাত্ররা উপকৃত হবে।”
অনুষ্ঠানে জাফর ইকবাল বলেন, “আমি সাহস করে ছয়টি বই পরিমার্জনের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। এখন এগুলো যারা ছাপাবে, তাদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া যাবে। পেইজ মেকিং কিংবা আর কিচ্ছু করতে হবে না।
অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, “একটা ছেলে বা একটা মেয়ে বইটা হাতে নিলে তার মনটা ভালো হয়ে যায় যে, আহ কী সুন্দর বই! এটা আমার সারা জীবনের স্বপ্ন ছিল। আমার স্বপ্নটা নিজে নিজে করতে পারতাম না, যদি শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্বাধীনতাটা না দিত।
“আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি যাতে এটা নির্ভুল হয়। …(বই) হাতে তুলে দিলে তাদের (শিক্ষার্থী) মনটা ভালো হয়ে যায়, তাহলে আমাদের পরিশ্রমটা স্বার্থক হয়েছে। আমরা পরিশ্রমের কোনো ঘাটতি করিনি। গত ১০ মাস আমি কোনো দিন রাত ২টার আগে ঘুমাইনি।”
অধ্যাপক কায়কোবাদ বলেন, শিক্ষার মান উন্নত করতে চাইলে খুব ভালো মানের পাঠ্যপুস্তক করতে হবে। ভালোমানের পাঠ্যপুস্তক প্রণিত হলে অবশ্যই শিক্ষার মান ভালো হবে।