মঙ্গলবার আত্মসমপর্ণের পর ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক আবদুর রহমান সরদার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২০০০ সালের জুলাইয়ে কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনার সমাবেশকে সামনে রেখে বোমা পুতে রাখার ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইন এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি মামলা দায়ের হয়।
গত ২০ অগাস্ট এই দুই মামলার ঘোষিত রায়ে বিস্ফোরক মামলায় খালাস পেলেও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা হয় জঙ্গিনেতা মুফতি আবদুল হান্নানের ভগ্নিপতি সারওয়ারের।
তার আইনজীবী ফারুক আহমদ এবং শেখ লুৎফর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় হাই কোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন সারওয়ার।এ মামলায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরে পালিয়ে যান।
কোটালীপাড়ার একটি কলেজের কাছে ২০০০ সালের ২০ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভামঞ্চের নির্ধারিত স্থান ও হ্যালিপ্যাডে মাটিতে পুঁতে রাখা ৭৬ ও ৮০ কেজি ওজনের দুটি বোমা পাওয়ার পর ওই দুই মামলা করে পুলিশ।
বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও গুরুতর অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতার অভিযোগ আনা হয়েছিল, যার সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল মৃত্যুদণ্ড।
মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের মধ্যে অন্য একটি মামলায় হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় তার নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়।
মুফতি হান্নান বাদে মামলার বাকি ২৪ আসামির মধ্যে ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড; একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা; সারওয়ারসহ তিনজনকে ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অপরাধে সংশ্লিষ্টতা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার ১০ আসামি আদালতের রায়ে খালাস পেয়েছেন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন জানিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে সারওয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মুফতি হান্নানের ভগ্নিপতি হওয়ায় আমাকে মামলায় আসামি করা হয়েছিল। টিভিতে রায়ের কথা জেনে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আত্মসমর্পণ করেছি।”