রোহিঙ্গা নিয়ে আবদুল হামিদকে এরদোয়ানের ফোন

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে টেলিফোন করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোয়ান।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Sept 2017, 01:36 PM
Updated : 5 Sept 2017, 05:24 PM

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রোহিঙ্গাদের বিষয়ে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপ সমর্থন করেছেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে না দিলেও রাখাইন প্রদেশে সঙ্কট অবসানে ইয়াংগুনকে চাপ দেওয়ার জন্যেআন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ।

গত ২৪ অগাস্ট রাতে রাখাইন প্রদেশে একসঙ্গে ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর ওই রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে কয়েকশ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাজার হাজার মুসলিম রোহিঙ্গা নাফ নদী ও স্থল সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করলেও অনেক রোহিঙ্গা ঢুকে পড়েছে।

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। ছবি: রয়টার্স

এই পরিস্থিতির মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে ইউরোপের মুসলিম দেশ তুরস্কের প্রেসিডেন্টের ফোন আসে বঙ্গভবনে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে তিনি চলমান এই সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করেন।

এরদোয়ান রাখাইনে অব্যাহত সেনা অভিযান ও সংঘাতে রোহিঙ্গাদের বর্তমান অবস্থায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এই সমস্যা সমাধানে এই পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা তাকে জানান আবদুল হামিদ।

বিবৃতিতে বলা হয়, “সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ সরকারকে পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতা তুরস্ক সরকার করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন এরদোয়ান।”

মিয়ানমারে জাতিগত নিপীড়নেসর শিকার হয়ে কয়েক দশক ধরে ৫ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে শরণার্থী হয়ে আছে। তাদের ফেরত নিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বারবার আহ্বান জানানো হলেও তাতে গা নেই মিয়ানমারের।

এর মধ্যে সেখানে সহিংসতার কারণে আরও রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকতে চাওয়ায় সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করে ঢাকা।

এরদোয়ান মিয়ানমারের মুসলিম নাগরিক রোহিঙ্গাদের সমস্যার বিষয়টি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে তোলার আশ্বাস দেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়।