বুধবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বলেন, “ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ রায়ের নিখোঁজের ঘটনা দেশের আপামর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বিশেষ করে ব্যবসায়ী মহলকে অধিকতর ত্রস্ত করে তুলেছে।
“একদিকে সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রচারণা, অন্যদিকে সংখ্যালঘুদের জায়গা-জমি দখল, উপাসনালয়ে অব্যাহত হামলা এমনকি দেশত্যাগের মত হুমকিজনিত পরিস্থিতির মধ্যে এহেন অপহরণের ঘটনা সংখ্যালঘুদের নিদারুণ উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।”
গত ২৭ অগাস্ট বিকালে ঢাকার কূটনীতিক পাড়া গুলশানের ১ নম্বর সেকশনের ইউনিয়ন ব্যাংকের সামনে থেকে একটি মাইক্রোবাসে অনিরুদ্ধকে তুলে নেওয়া হয় বলে তার গাড়িচালক জানান।
অনিরুদ্ধ আরএমএম লেদার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি বেলারুশের ‘অনারারি কনসাল’ ছিলেন।
যে মাইক্রোবাসে তাকে তুলে নেওয়া হয়েছিল, তার নম্বরটি তার গাড়িচালক রাখলেও সেটি ভুয়া বলে জানতে পেরেছে পরিবার।
রানা দাশগুপ্ত বলেন, ওই ব্যাংকে ঋণের জন্য কথা বলতে গিয়েছিলেন অনিরুদ্ধ। ব্যাংক থেকে বের হওয়ার পরপরই তাকে তুলে নেওয়া হয়।
“এই ঘটনায় তার পরিবার আতঙ্কগ্রস্ত। আমরা ব্যবসায়ী-শিল্পপতি অনিরুদ্ধ রায়কে উদ্ধারে এবং তার পরিবারের সার্বিক নিরাপত্তায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করি,” বলেন যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটার রানা দাশগুপ্ত।
এই বিষয়ে গুলশান থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিকী সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, অনিরুদ্ধকে উদ্ধারের সব চেষ্টা করা হচ্ছে। তার ব্যবসায়িক অংশীদারদের সঙ্গেও কথা বলেছেন তারা।
থানা পুলিশ ছাড়াও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও এ ক্ষেত্রে কাজ করছেন বলে জানান তিনি।