জঙ্গিদের শক্তির মারাত্মক ক্ষয়: র‌্যাব ডিজি

গুলশান হামলার পর ধারাবাহিক অভিযানে বাংলাদেশে জঙ্গিরা বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে দাবি করেছেন র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 August 2017, 11:46 AM
Updated : 30 August 2017, 12:52 PM

তবে এতে তুষ্ট না হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সবসময় সতর্ক থাকার উপ জোর দিচ্ছেন পুলিশের এই অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক।

বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত হামলার পর গত বছরের জুলাইয়ে ঢাকার কূটনীতিক পাড়া গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিকে হত্যা করে জঙ্গিরা। কয়েকদিনের মধ্যে শোলাকিয়ার ঈদ জামাতেও হামলার চেষ্টা হয়। 

আগের হামলাগুলো ঠেকাতে ব্যর্থতা নিয়ে সমালোচনার মধ্যে বহির্বিশ্বে আলোচিত গুলশান হামলার পর সাঁড়াশি অভিযানে নামে র‌্যাব-পুলিশ। এতে নিহত হন শীর্ষ জঙ্গিনেতাদের অধিকাংশ।

বুধবার জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা দেখতে এসে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে র‌্যাবপ্রধান বেনজীর বলেন, “আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নাই। কারণ আপনারা (সাংবাদিক) জেনেছেন যে জঙ্গিদের উপর আমাদের (আইন শৃঙ্খলাবাহিনী) একটা ভালো নজরদারি রয়েছে।

“সে কারণে আমি মনে করি, গত এক বছরের তাদের মারাত্মক শক্তির ক্ষয় ঘটেছে।”

গুলশান হামলার পর ধারাবাহিক অভিযানের মধ্যেই গত মার্চে ঢাকার উত্তরায় র‌্যাবের ব্যারাকে আত্মঘাতী হামলা হয়। তার কয়েকদিনের মধ্যে বিমানবন্দরের কাছেও আত্মঘাতী হন এক জঙ্গি।

এই প্রেক্ষাপটে বেনজীর বলেন, “আত্মতুষ্টির কারণ নাই। এদেরকে (জঙ্গি) নির্মূল না করা পর্যন্ত কাজ করতে হবে। এটা আমাদের জাতীয় প্রয়াস।”

এবার ঈদ জামাতে কোনো হুমকি আছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কোনো থ্রেট নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ না আমরা যেটা বলতে চাই, যে কোনো ধরনের ঝুঁকি মাথায় রেখে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।”

ঢাকায় প্রায় ৬০০ স্থানে ঈদের জামাত হয়। এর মধ্যে প্রধান প্রধান জামাতগুলোতে নিরাপত্তায় থাকবে র‌্যাবের ৫টি ব্যাটালিয়ন। জেলাগুলোতেও থাকবে র‌্যাবের নিরাপত্তা।

“যে সব স্থানে ক্যাম্প রয়েছে। সেসব ক্যাম্প ও ব্যাটালিয়ন সদরের মধ্যে যেসব গ্রাম রয়েছে, সেসব স্থানে আমাদের সদস্যদের উপস্থিতি থাকবে,” বলেন বেনজীর।

নিরাপত্তাকে ‘অহেতুক ঝামেলা’ হিসেবে না দেখতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানান র‌্যাবপ্রধান।

ঈদের নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের জায়নামাজ ছাড়া আর অন্য কিছু সঙ্গে না আনার অনুরোধ জানান তিনি।