সোমবার সংলাপ শেষে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সকালে বাংলাদেশ মুসলীম লীগ-বিএমল ও বিকালে খেলাফত মজলিশের সঙ্গে মতবিনিময় করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন কমিশন।
পরে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব জানান, দুটি দলের কাছ থেকেই প্রায় একই রকমের সুপারিশ এসেছে। সরকারবিরোধী দলের মধ্যে ইসির উদ্যোগে জাতীয় সংলাপ আয়োজন ও বিরোধী নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “জাতীয় সংলাপের বিষয়টি রাজনৈতিক বিষয়। এ বিষয়ে ইসির ভূমিকা রাখার কিছু নেই। মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে কমিশন বলেছে সহিংস ও ফৌজদারী মামলা, যেসব মামলার এজহার হয়েছে- সেক্ষেত্রে কমিশন কোনো সুপারিশ করবে না, করতে পারে না।”
৩৩% নারী কমিটিতে রাখতে সময়ের প্রয়োজন
ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব জানান, বিদ্যমান বাস্তবতায় ২০২০ সালের মধ্যে সব কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব রাখা সম্ভব হবে না বলে মত দিয়েছে দল দুটি। কিন্তু ৪০টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে অধিকাংশই নির্ধারিত সময়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণের আশ্বাস দিয়েছে।
সর্বশেষ ৭টি দল অগ্রগতি প্রতিবেদন না দেওয়ায় তাদের নোটিসব করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অভন্ন সুপারিশ বিএমল-খেলাফত মজলিশের
বৈঠক শেষে তিনি জানান, সহায়ক সরকার, বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েনসহ অন্তত দুই ডজন প্রস্তাব রেখেছেন তারা।
একাদশ সংসদে ইভিএম ব্যবহার না করা, নিবন্ধন শর্ত শিথিল করার সুপারিশও করেছে দলটি।
সকালে বাংলাদেশ মুসলীম লীগও একই ধরনের সুপারিশ রেখেছে। সেই সঙ্গে নির্বাচনী ব্যয় ২৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক কোটি টাকা করার প্রস্তাব রাখে দলটি।
‘রাজনৈতিক বিষয়ে ইসির ভূমিকা নেই, তবে…’
সহায়ক সরকারসহ বেশ কিছু দাবি রাজনৈতিক হওয়ায় তাতে কমিশনের ভূমিকা থাকবে না বলে জানান ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
তিনি জানান, দলের সুপারিশের মধ্যে কিছু বিষয় রাজনৈতিক, কিছু বিষয় সাংবিধানিক ও কিছু সুপারিশ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রয়েছে।
“এক্ষেত্রে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা দরকার সবই করবে কমিশন।”
এক প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন বলেন, “কমিশন দলগুলোকে বলেছে- রাজনৈতিক বিষয়গুলো রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে সমাধান করা যায়, রাজনৈতিক বিষয়ে ইসির বেশি কিছু করার নেই। তবে বিহাইন্ড দ্য স্ক্রিন হয়ত ভূমিকা রাখতে পারে।”