শনিবার চট্টগ্রামে হতে যাওয়া এই বৈঠকে বিভাগীয় কমিশনার, বিজিবির আঞ্চলিক অধিনায়ক, কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার এবং শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবসন কমিশনারসহ ৩০টি ‘বিশেষ এলাকার’ শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেবেন।
নির্বাচন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এতে প্রধান অতিথি থাকবেন।
জানতে চাইলে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মঈন উদ্দীন খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া ঠেকাতে ‘সর্বোচ্চ সতর্কতার’ নির্দেশনা রয়েছে ইসির।
“ইতোমধ্যে ভোটারযোগ্যদের তথ্যও সংগ্রহ করা হয়েছে। তবুও রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার প্রবণতা রয়েয়ে আশঙ্কাজনক হারে। এ অবস্থায় কোনভাবেই যাতে রোহিঙ্গাদের তালিকাভুক্ত করা না হয় সে বিষয়ে আরও পদক্ষেপ নিতেই নতুন করে বিশেষ সভা করা হচ্ছে।”
উপজেলাগুলো হলো- কক্সবাজারের সদর, চকোরিয়া, টেকনাফ, রামু, পেকুয়া, উখিয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া। বান্দরবানের সদর, রুমা, থানচি, বোয়াংছড়ি, আলীকদম, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি। রাঙামাটির সদর, লংগদু, রাজস্থলী, বিলাইছড়ি, কাপ্তাই, বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি ও বরকল। চট্টগ্রামের বোয়ালখালী, পটিয়া, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগড়া ও বাঁশখালী।
২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরির কাজ শুরুর পর রোহিঙ্গা সন্দেহে হালনাগাদের সময় সর্বোচ্চ সংখ্যক ৫০ হাজার আবেদন বাতিল করে কমিশন।
নির্বাচন কর্মকর্তা মঈন উদ্দীন খান বলেন “প্রতি বছর হালনাগাদের সময় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোহিঙ্গা তথ্য ফরম পূরণ করলেও শেষ পর্যন্ত যাচাই-বাছাইয়ের সময় তাদের আবেদন নাকচ করে দেওয়া হয়। হালনাগাদ কার্যক্রমে বিদেশি কোন নাগরিক যাতে ভোটার হিসাবে নিবন্ধিত না হতে পারে সে বিষয়ে বৈঠকে সবাইকে সতর্ক করে দেওয়া হবে।”
‘বিশেষ সভায়’ ৩০টি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এবং নির্বাচন কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও ডাকা হয়েছে জানিয়ে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, এসব ‘বিশেষ এলাকায়’ ভোটার হতে পূরণ করতে হয় ‘বিশেষ ফরম’, যাচাই-বাছাইয়ে রয়েছে বিশেষ কমিটি।
আগামী ৫ নভেম্বর পর্যন্ত দেশজুড়ে ভোটার নিবন্ধনের এ কার্যক্রম চলবে। এবারের হালনাগাদে নতুন ২৫ লাখেরও বেশি নাগরিকের তথ্য নেওয়া হয়েছে। যাদের ছবি তোলার পর এখন নিবন্ধনের কাজ চলছে।
বর্তমান তালিকা অনুযায়ী, দেশে ১০ কোটি ১৮ লাখেরও বেশি ভোটার রয়েছে।