জজ আদালতে যে ২৬ আসামিকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, তাদের মধ্যে ১১ জনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে, যা না দিলে আরও দুই বছরের সাজা ভোগ করতে হবে।
নিম্ন আদালতে নয়জনকে দেওয়া বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ডের রায়ে কোনো পরিবর্তন আসেনি হাই কোর্টে।
আসামিদের করা আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রায় দেয়।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, “আসামিরা যে ধরনের অপরাধ করেছে, যদি তারা ছাড়া পেয়ে যায়, তাহলে বিচার বিভাগের প্রতি জনগণ আস্থাহীনতায় ভুগবে।”
তিন বছর আগে নারায়ণগঞ্জে কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যায় ডুবিয়ে দেওয়ার ওই ঘটনা পুরো বাংলাদেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল।
ওই হত্যাকাণ্ডে এলিট বাহিনী র্যাবের কয়েকজনের জড়িত থাকার তথ্য বেরিয়ে এলে বিষয়টি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও শিরোনাম হয়েছিল।
হাই কোর্টে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা ১৫ আসামির মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি।
সর্বোচ্চ সাজার আদেশ পাওয়া সামরিক বাহিনীর সাবেক তিন কর্মকর্তার মধ্যে লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ ওই হত্যাকাণ্ডের সময় র্যাব-১১ এর অধিনায়ক ছিলেন। তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জামাতা।
র্যাবের ক্যাম্প কমান্ডার আরিফ হোসেন ছিলেন সেনাবাহিনীর একজন মেজর। আর মাসুদ রানা ছিলেন নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার। মামলার ৩৫ আসামির মধ্যে ২৫ জনই ছিলেন সশস্ত্র ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্য।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের সঙ্গে আসামি নূর হোসেনের দ্বন্দ্বের জেরেই ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল সাত খুনের ঘটনা ঘটে।
নূর হোসেনকে ওই হত্যাকাণ্ডের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে বর্ণনা করে হাই কোর্টের রায়ে বলা হয়, তার সঙ্গে তিন র্যাব কর্মকর্তার অবৈধ অর্থিক লেনদেন হয়েছিল।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, “কিছু উচ্ছৃঙ্খল র্যাব সদস্যের কারণে এ বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল অর্জন ম্লান হয়ে যেতে পারে না। তাদের সন্ত্রাসবিরোধী গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ধূলিস্যাৎ হতে পারে না।
“কিন্তু এই বাহিনীর কতিপয় সদস্যের অপরাধবৃত্তি মানব সভ্যতায় আতঙ্কজনক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। তারা এতটাই পাশবিকতা দেখিয়েছে, যা ছিল নিষ্ঠুরতার সর্বোচ্চ প্রকাশ।”
রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নিহত কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বলেন, “আসামিরা যে ধরনের অপকর্ম করেছে সেসব অপকর্মের উপযুক্ত শাস্তি হয়েছে।”
সুপ্রিম কোর্টেও এ রায় বহাল থাকবে এবং দ্রুত দণ্ড কার্যকর হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অন্যদিকে মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনের আইনজীবী এস আর এম লুৎফর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “এই রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ, আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। আমরা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করব। রায়ের কপি পাওয়ার আগেই আমরা সিএমপি (আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল) করব।”
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আরেক আসামি তারেক সাঈদ ও সাজা কমে যাবজ্জীবন হওয়া রহম আলীর আইনজীবী এ কে এম ফজলুল হক খান ফরিদও রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা বলেছেন।
আর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এই রায়কে ‘দৃষ্টান্তমূলক’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন, তিনি ‘স্বস্তি’ পাচ্ছেন।
এগারো জনের সাজা কমানোর বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কি না, পুরো রায় পড়ার পর সে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান তিনি।
যার যেমন সাজা
আসামি | পরিচয় | রায় |
নূর হোসেন | সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর | মৃত্যুদণ্ড |
তারেক সাঈদ মোহাম্মদ | র্যাব-১১ এর সাবেক অধিনায়ক, সাবেক লেফটেন্যান্ট কর্নেল | মৃত্যুদণ্ড |
আরিফ হোসেন | র্যাবের ক্যাম্প কমান্ডার, সাবেক মেজর | মৃত্যুদণ্ড |
মাসুদ রানা | র্যাবের ক্যাম্প কমান্ডার, সাবেক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার | মৃত্যুদণ্ড |
এমদাদুল হক | হাবিলদার | মৃত্যুদণ্ড |
আরিফ হোসেন | আরওজি-১ | মৃত্যুদণ্ড |
হীরা মিয়া | ল্যান্স নায়েক | মৃত্যুদণ্ড |
বেলাল হোসেন | ল্যান্স নায়েক | মৃত্যুদণ্ড |
আবু তৈয়ব | সিপাহি | মৃত্যুদণ্ড |
মো. শিহাব উদ্দিন | কনস্টেবল | মৃত্যুদণ্ড |
পুর্নেন্দু বালা, | এসআই | মৃত্যুদণ্ড |
আব্দুল আলীম | সৈনিক | মৃত্যুদণ্ড |
মহিউদ্দিন মুন্সী | সৈনিক (পলাতক) | মৃত্যুদণ্ড |
আল আমিন শরীফ | সৈনিক (পলাতক) | মৃত্যুদণ্ড |
তাজুল ইসলাম | সৈনিক (পলাতক) | মৃত্যুদণ্ড |
আলী মোহাম্মদ | নূর হোসেনের সহযোগী | সাজা কমে যাবজ্জীবন |
মিজানুর রহমান দিপু | নূর হোসেনের সহযোগী | সাজা কমে যাবজ্জীবন |
রহম আলী | নূর হোসেনের সহযোগী | সাজা কমে যাবজ্জীবন |
আবুল বাশার | নূর হোসেনের সহযোগী | সাজা কমে যাবজ্জীবন |
আসাদুজ্জামান নূর | সৈনিক | সাজা কমে যাবজ্জীবন |
মোর্তুজা জামান চার্চিল | নূর হোসেনের সহযোগী | সাজা কমে যাবজ্জীবন |
এনামুল কবীর | সার্জেন্ট | সাজা কমে যাবজ্জীবন |
সেলিম | নূর হোসেনের সহযোগী, বর্তমানে ভারতের কারাগারে বন্দি | সাজা কমে যাবজ্জীবন |
সানাউল্লাহ ছানা | নূর হোসেনের সহযোগী (পলাতক) | সাজা কমে যাবজ্জীবন |
শাহজাহান | নূর হোসেনের ম্যানেজার (পলাতক) | সাজা কমে যাবজ্জীবন |
জামাল উদ্দিন | নূর হোসেনের সহযোগী | সাজা কমে যাবজ্জীবন |
রুহুল আমিন | কর্পোরাল | ১০ বছর |
বজলুর রহমান, | এএসআই | ৭ বছর |
নাসির উদ্দিন | হাবিলদার | ৭ বছর |
আবুল কালাম আজাদ | এএসআই | ১০ বছর |
নুরুজ্জামান | সৈনিক | ১০ বছর |
বাবুল হাসান, | কনস্টেবল | ১০ বছর |
মো. মোখলেছুর রহমান | কর্পোরাল (পলাতক) | অপহরণের দায়ে ১০ বছর |
কামাল হোসেন | এএসআই (পলাতক) | অপহরণের দায়ে ১০ বছর |
হাবিবুর রহমান | কনস্টেবল | অপহরণের দায়ে ১০ বছর, আলামত সরানোর দায়ে ৭ বছর |
এক দফা পেছানোর পর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় হাই কোর্ট এ মামলার রায় পড়া শুরু করে। প্রথমে সাংবাদিকদের এজলাস কক্ষে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলেও পরে দশজন সাংবাদিককে ঢোকার সুযোগ দেওয়া হয়।
দুপুরে ঘণ্টাখানেক বিরতি দিয়ে বিকেল সাড়ে ৪টায় রায় পড়া শেষ করে আদালত। সেখানে ১৫ আসামির ফাঁসির রায় বহাল থাকে।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, র্যাব রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বিশেষ বাহিনী। তাদের দায়িত্ব হল জনগণের জানমাল রক্ষা করা এবং নিরাপত্তা দেওয়া। কিন্তু এ বাহিনীর কিছু সদস্য নৃসংশ হত্যাকাণ্ডে জড়িয়ে পরে অপরাধ ঘটিয়েছে। ফলে তাদের বিচার হয়েছে।
র্যাব হেফাজতে সাতজনকে হত্যার বিষয়ে পর্যবেক্ষণে বলা হয়, তাদের মৃত্যু যন্ত্রণা ছিল ‘ভয়বহ, অচিন্তনীয়’।
“র্যাব সদস্যরা এতটাই নির্দয় ছিল যে, হত্যার পর তাদের তলপেট ছুরি দিয়ে কেটে বস্তাবন্দি করে তার সঙ্গে ১০টি করে ইট বেঁধে দেওয়া হয়, যেন বস্তাবন্দি লাশ নদীর পানিতে তলিয়ে যায়।”
আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থেকে উদ্ধৃত করে রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, এই হত্যাকাণ্ড ছিল সুপরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলক। তাদের নৃসংশতা প্রমাণ করে, মৃতদেহের উপরও তারা কতটা নির্দয় ছিল।
র্যাবের কয়েকজন সদস্য অপরাধ করলেও নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে এ বাহিনীর ওপর দেশের মানুষের ‘যথেষ্ট আস্থা’ রয়েছে মন্তব্য করে রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, “কতিপয় সদস্যের কারণে সামগ্রিকভাবে গোটা বাহিনীকে দায়ী করা যায় না।”
আসামিপক্ষ শুনানিতে দাবি করে, এ মামলায় প্রত্যক্ষদর্শী কোনো সাক্ষ্য নেই, আর্থিক লেনদেনেরও কোনো প্রমাণ নেই।
এ বিষয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, “র্যাবের তখনকার এডিজি জিয়াউল হাসান টাকা লেনদেনের বিষয়ে মেজর আরিফকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এছাড়া নিহত নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহিদুল ইসলাম তারিক সাঈদের সঙ্গে দেখা করে বলেছিলেন, নূর হোসেন যত টাকা দিয়েছে তার চেয়ে বেশি টাকা দেবেন, নজরুলকে যেন ছেড়ে দেওয়া হয়।
“এ থেকে প্রমাণ হয়, টাকার বিনিময়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। তাছাড়া বেআইনি লেনদেনের সাধারণত কোনো প্রমাণ থাকে না।”
১১ জনের সাজা কমানোর বিষয়ে পর্যবেক্ষণে বলা হয়, “অপরাধের ধরন বিবেচনায় নিয়ে তাদের মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে। অপরাধের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা হয়েছে। কিন্তু তারা যে অপরাধ করেছে, তাতে যাজজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়াই যুক্তিযুক্ত। মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলে তা হত কঠোর শাস্তি।”
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে ঢাকার ফেরার পথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া থেকে অপহরণ করা হয় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু সিরাজুল ইসলাম লিটন, সহযোগী মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, স্বপনের গাড়ি চালক জাহাঙ্গীরকে।
ওই ঘটনা দেখে ফেলায় নজরুলের গাড়ির পেছনে থাকা আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহিমও অপহৃত হন।
তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে মেলে ছয়জনের লাশ। ১ মে নজরুলের বন্ধু সিরাজুল ইসলাম লিটনের লাশও নদীতে ভেসে ওঠে। প্রত্যেকের পেটে ছিল আঘাতের চিহ্ন; প্রতিটি লাশ ইটভর্তি দুটি করে বস্তায় বেঁধে নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
লাশ উদ্ধারের পর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি এবং চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল দুটি মামলা করেন, যার তদন্ত চলে একসঙ্গে।
দুই মামলার তদন্ত শেষে নারায়ণগঞ্জের সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ মণ্ডল।
আসামিদের মধ্যে র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ১৭ জন এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের তৎকালীন ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর হোসেনের পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। ঘটনার ১৭ মাস পর মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
আসামিদের মধ্যে ২১ জন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তদন্ত চলাকালে নূর হোসেন ভারতে থাকায় তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ পায়নি পুলিশ।
গ্রেপ্তার র্যাব সদস্যরা আদালতে যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন, তাতে হত্যাকাণ্ডের ভয়ঙ্কর বিবরণ উঠে আসে। তারা জানান, অপহরণের পর সাতজনকে চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে অচেতন করা হয়। পরে মুখে পলিথিন পেঁচিয়ে হত্যা করা হয় শ্বাস রোধ করে।
লাশগুলো শীতলক্ষ্যায় ফেলে দেওয়ার সময় ডুবে যাওয়া নিশ্চিত করতে বেঁধে দেওয়া হয় ইটের বস্তা। আর লাশ যাতে ফুলে না ওঠে সেজন্য চিরে ফেলা হয় লাশে পেট।
জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন ২০১৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার আসামিদের বিচার শুরু করেন।
চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি তিনি যে রায় দেন, তাতে নূর হোসেন ও সাবেক তিন র্যাব কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং নয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে যারা কারাগারে আছেন তারা হাই কোর্টে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। এছাড়া নিম্ন আদালতের মৃত্যুদণ্ডের রায় অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স আকারে নথি আসে হাই কোর্টে।
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা আলোচিত এ মামলার শুনানির জন্য গত ১৭ মে বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিলে ২২ মে থেকে শুনানি শুরু হয়। ৩৩ কার্য দিবস শুনানির পর হাই কোর্ট ১৩ অগাস্ট দিন রাখলেও পরে তা পিছিয়ে ২২ অগাস্ট নতুন দিন রাখা হয়।