নেত্রকোনার পিপির দায়িত্বে ফিরতে পারছেন না পাঠান

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নেত্রকোনা দায়রা জজ অদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর গোলাম মোহাম্মদ খান পাঠানের পেশাদারী কর্মকাণ্ডে হাই কোর্টের দেওয়া তিন মাসের স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 August 2017, 05:25 PM
Updated : 20 August 2017, 05:26 PM

হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে গোলাম পাঠানের করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) রোববার খারিজ করে দেয় প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।

আপিল বিভাগ হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ বহাল থাকায় পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে কোনো কার্যক্রমে গোলাম মোহাম্মদ পাঠান অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন।

শ্বশুরকে হত্যার দায়ে ১৯৮৬ সালে নেত্রকোনা দায়রা জজ আদালতে গোলাম পাঠানের যাবজ্জীবন সাজা হয়।

এর দুই বছর পর ১৯৮৮ সালে হাই কোর্টে আপিল করেন তিনি।  পাঁচ বছর পর ১৯৯৩ সালে হাই কোর্ট বিচারিক আদালতের সাজা বহাল রেখে রায় দেয়।

এরপর হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেন সাজাপ্রাপ্ত খান পাঠান।  কিন্তু এ আপিলটি নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই রাষ্ট্রপতির মার্জনা পেয়ে ১৯৯৫ সালে তিনি কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন।  পরে আপিলটিও প্রত্যাহার করে নেন তিনি।

এরপর রাজনীতির পাশাপাশি আইন পেশায় যুক্ত হন গোলাম পাঠান। ২০০৯ সালে তিনি পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান।

সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কোন ক্ষমতাবলে তিনি পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, সে প্রশ্নে হাই কোর্টে একটি রিট আবেদন করেন নেত্রকোনা সদরের বাসিন্দা মো. মোশারফ হেসেন।

ওই আবেদনে তার পিপির কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেয় হাই কোর্ট। এরপর আপিল বিভাগে আসেন তিনি।

গোলাম মোহাম্মদ খান পাঠান নেত্রকোনা সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের মামা। 

রিট আবেদনকারী মোশারফ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গোলাম মোহাম্মদ খান পাঠানের বাবা গোলাম আলী খান পাঠান একাত্তরে মুক্তযুদ্ধের সময় নেত্রকোনা সদর শান্তি কমিটির ১১ নম্বর সদস্য ছিলেন।”