খালাফ হত্যা: আপিল বিভাগের রায় ১০ অক্টোবর

ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলায় আপিল বিভাগের রায় জানা যাবে ১০ অক্টোবর।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 August 2017, 06:55 AM
Updated : 20 August 2017, 07:00 AM

এ মামলায় হাই কোর্টে রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে করা আপিলের উপর শুনানি শেষে বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বে তিন বিচারকের আপিল বেঞ্চ রোববার রায়ের এই দিন ঠিক করে দেয়।

গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষ আপিলের ওপর শুনানি শেষ করার পর রোববার আসামিপক্ষ শুনানি করে।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম;  সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। 

অন্যদিকে আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড খবির উদ্দিন ভূঁইয়া।  পলাতক আসামিদের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী হেলালউদ্দিন মোল্লা।

ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বর এ মামলার রায়ে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিলেও আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি করে হাই কোর্ট ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর একজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। তিনজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একজনকে খালাস দেওয়া হয়।  

আসামিদের মধ্যে সাইফুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড হাই কোর্টের রায়েও বহাল থাকে। মো. আল আমীন, আকবর আলী লালু ও রফিকুল ইসলামের সাজা কমে হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আর পলাতক সেলিম চৌধুরী খালাস পান।

এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। আপিল বিভাগে শুনানি শেষে তা চূড়ান্ত রায়ের পর্যায়ে এল। 

২০১২ সালের ৫ মার্চ মধ্যরাতে গুলশানে নিজের বাসার কাছে গুলিবিদ্ধ হন সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী (৪৫)।  পরদিন ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

হত্যাকাণ্ডের দুই দিন পর পুলিশ গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করে। আর সাড়ে চার মাস পর চারজনকে গ্রেপ্তার করে, যাদের পরিচয় দেয়া হয় ‘ছিনতাইকারী’ হিসাবে।

আসামি আল আমীন নিম্ন আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, সাইফুলসহ বাকি চারজন ওই রাতে খালাফকে ঘিরে ধরেন এবং তার কাছে ডলার চান।

“ডলার না দেয়ায় তাদের মধ্যে ধস্তাধাস্তি হয়। পরে সাইফুল তার হাতে থাকা রিভলবার দিয়ে খালাফকে গুলি করে পালিয়ে যান।”