পানি কমছে তিস্তা-ব্রহ্মপুত্রে

টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে বাড়ার পর পানি কমতে শুরু করেছে উত্তরাঞ্চলের প্রধান দুই নদী তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 August 2017, 11:46 AM
Updated : 16 August 2017, 11:54 AM

একে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির লক্ষণ বলছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন।

তবে পানি বাড়ছে গঙ্গা অববাহিকার নদীগুলোতে, যা মধ্যাঞ্চলে বন্যার বার্তা দিচ্ছে।

চলতি বর্ষা মৌসুমে এখন ২০টি জেলা বন্যার কবলে রয়েছে বলে সরকারের হিসাব; এর মধ্যে অধিকাংশই তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র পাড়ের।

কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, দিনাজপুরে বহু এলাকা প্লাবিত হয়ে  কয়েক লাখ মানুষ এখন বন্যাদুর্গত।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বুধবার সকালে জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি কুড়িগ্রামের নুনখাওয়া পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার কমেছে। তবে তা এখনও বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে।

ব্রহ্মপুত্রের পানি ৮ সেন্টিমিটার পানি কমেছে কুড়িগ্রামের চিলমারী পয়েন্টে। তবে তা এখনও বিপদসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার উপরে।

বাহাদুরাবাদ এবং ফুলছড়ি পয়েন্টে পানি স্থিতিশীল আছে। বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে এখনও বিপদসীমার ১৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে।

তিস্তার পানিও কমছে বলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

তিনি বলেন, “তিস্তায় পানি কমছে। নুনখাওয়া ও চিলমারী পয়েন্টে (ব্রহ্মপুত্র) পানি কমেছে। এ কারণে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারীসহ কয়েকটি জেলায় পানি কমে যাচ্ছে বলে আমরা জেনেছি।”

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উজানের তিস্তা, ব্রহ্মপুত্রের পানি কমতে শুরু করেছে। এ কারণে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি শুরু হয়েছে বলা যায়।”

তবে যমুনার পানি বাড়ায় সিরাজগঞ্জ ও জামালপুর জেলা বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। সেখানেও পানি দু-একদিনের মধ্যে কমবে বলে আশা করছেন রিয়াজ।

যমুনার পানি জামালপুরের সারিয়াকান্দিতে ৯ সেন্টিমিটার, সিরাজগঞ্জে ২০ সেন্টিমিটার এবং আরিচা পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার বেড়েছে। সারিয়াকান্দিতে পানি বিপদসীমার ১২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে।

মেঘনা অববাহিকার ভারতীয় অংশে পানি হ্রাস অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মেঘনা অববাহিকার অধিকাংশ নদীর পানিও কমছে।

গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি আগামী ৭২ ঘণ্টায় বাড়লেও তা বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হবে বলে জানায় বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর জানায়, বন্যায় এখন পর্যন্ত উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ২২ লাখের বেশি মানুষ, বিভিন্ন জেলায় মারা গেছে ৩৯ জন।