সাবেক জেলা পরিষদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগপত্র

নোয়াখালী জেলা পরিষদের সাবেক হিসাবরক্ষক মোহাম্মদ তারিক হাসানের বিরুদ্ধে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 August 2017, 03:17 PM
Updated : 13 August 2017, 03:17 PM

রোববার অর্থ আত্মসাতের ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তারিক হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন করেছে দুদক।

পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল ও চেক টেম্পারিংয়ের (চেকের বামপাশে অতিরিক্ত সংখ্যা যোগ) মাধ্যমে তারিক হাসান দুই কোটি ৫৬ লাখ ৩৯ হাজার ৮২৮ টাকা তুলে নেন বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, নোয়াখালী জেলা পরিষদের হিসাবরক্ষকের দায়িত্বে থাকার সময় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তারিক হাসানের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৯ মে সুধারাম থানায় একটি মামলা হয়।

দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক হোসাইন শরীফ মামলাটি তদন্ত করেন জানিয়ে প্রণব বলেন, ২০০৯ সালে তারিক নোয়াখালী জেলা পরিষদে হিসাব রক্ষক পদে যোগ দেন। তিনি মোট ৩৪টি চেকে পরিষদের তখনকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল আমিনের স্বাক্ষরের পর চেকের বামপাশে অতিরিক্ত সংখ্যা যোগ করে ৬৫ লাখ ৬৭ হাজার ৭৯৪ টাকা তুলে আত্মসাৎ করেন। এছাড়া অন্য ৬৮টি চেকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে আরও এক কোটি ৭৫ লাখ ৫৩ হাজার ৩৪ টাকা আত্মসাৎ করেন বলে তদন্তে বেরিয়ে আসে।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক পরীক্ষা ও বিশেষজ্ঞদের মতামতে স্বাক্ষর জাল ও চেক টেম্পারিংয়ের প্রমাণ মিলেছে জানিয়ে দুদক কর্মকর্তা প্রণব আরও বলেন, আল আমিনের পরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের স্বাক্ষর জাল করে চারটি চেকের মাধ্যমে তারিক হাসান আরও ১৫ লাখ ১৯ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।