রোববার তিনি বঙ্গভবনে যান বলে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের জানান।
তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপতি সাক্ষাতের সময় সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য বিদায়ী দূতকে ধন্যবাদ জানান। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘কানাডা আমাদের পরিক্ষিত বন্ধু এবং গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার’।”
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কানাডার অবদানের কথা রাষ্ট্রপতি এ সময় কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ওই সময় থেকেই বাংলাদেশ ও কানাডার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে জোরদার ও বিস্তৃত হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি কানাডাকে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ‘গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য’ হিসেবে বর্ণনা করেন এবং ভবিষ্যতে দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
বিদায়ী দূত তার দায়িত্ব পালনে সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, কানাডা ও বাংলাদেশের জনগণের সম্পর্ক অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ।
বঙ্গভবনে আসার আগে কানাডার বিদায়ী হাই কমিশনার সংসদ ভবনে গিয়ে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বলে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
স্পিকার ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ৬৩তম সিপিএ সম্মেলন প্রসঙ্গে হাই কমিশনারকে বলেন, সিপিএর কার্যনির্বাহী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে কানাডার পার্লামেন্ট সদস্যরা রয়েছেন।
এবারের সম্মেলনে কানাডার একটি বড় সংসদীয় দল অংশগ্রহণ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
হাই কমিশনার বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।
এর ফলে এ খাতে বিদেশি ক্রেতারা অরও বেশি আকৃষ্ট হবেন এবং বাংলাদেশের রপ্তানি আয় আরও বাড়বে বলে মন্তব্য করেন কানাডার বিদায়ী রাষ্ট্রদূত।