এভাবে চলতে থাকলে চলতি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে আরেক দফা বন্যা হতে পারে বলে মনে করেছেন বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান।
তিনি শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ইতোমধ্যে সুরমা-যদুকাটা নদীর তিনটি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার উপরে বয়ে যাচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৯০টি পয়েন্টের মধ্যে ৮০টি পয়েন্টে পানি বাড়ার প্রবণতা রয়েছে।
“বহ্মপুত্র-যমুনায় পানি বাড়ছে, আগামী তিন দিন তা অব্যাহত থাকবে। এ নদ-নদীর অববাহিককায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ধীরে ধীরে বন্যার পদধ্বনি পাওয়া যাচ্ছে। ভারি বর্ষণ ও উজানের স্রোত অব্যাহত থাকলে আগামী সপ্তাহে যমুনা পাড়ে বন্যা দেখা দেবে।”
এ বছর বর্ষার শুরুতে জুলাই মাসে স্বাভাবিকের চেয়েও বেশি বৃষ্টি হয়েছে। গেল মাসজুড়ে ঢাকাসহ দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ভারি বৃষ্টি হয়েছে। ভারি বর্ষণে ঢাকা-চট্টগ্রামে দুই দফা জলজট, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ভূমিধস এবং বর্ষণ-পাহাড়ি ঢলে অন্তত ১৩ জেলার বন্যা হয়েছে।
জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় বাংলাদেশে বেশ বৃষ্টি হচ্ছে। আরও কয়েকদিন তা অব্যাহত থাকবে। সেই সঙ্গে উজানেও ভারি বর্ষণ চলছে। এর প্রভাব নদ-নদীর ওপরে পড়বে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, মৌসুমী বায়ুর বর্ধিতাংশের অক্ষ ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, হিমালয়ের পাদদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।
এর প্রভাবে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের শঙ্কা রয়েছে।
শুক্রবার সীতাকুণ্ডে ২২৮ মিলিমিটার ও রাঙামাটিতে ২২৫ মিলিমিটার, রংপুর ও সিলেটের অনেক এলাকায় ১০০- ১৮৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে।