ওই হেলিকপ্টারের কোনাবাড়ি কুদ্দুসনগর মাঠে নামার কথা থাকলেও ভুল করে কারাগারের সীমানায় নেমেছিল বলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ২ এর কারাধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “তারা কোনাবাড়ি থানা পুলিশের অনুমতি নিয়েই এসেছিল। সেখানে তাদের হেলিকপ্টার নামবে বলে স্থানীয় পুলিশও উপস্থিত ছিলেন। তবে হেলিকপ্টারের চালক ভুল করে কারাসীমানার মধ্যে হেলিকপ্টারের অবতরণ করে চলে যান। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এরা হলেন- কুমিল্লায় জন্ম নেওয়া বিল্লাল হোসেন (৫০), তার মালয়েশীয় স্ত্রী হাসনা আরা বিনতি, তাদের অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই মেয়ে ও এক ছেলে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে তারা কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সের চত্বরের কারাস্কুল মাঠে হেলিকপ্টারে করে নামার পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
আনোয়ার বলেন, পূর্বানুমতি না নিয়ে কারা চত্বর এলাকায় চক্কর দিয়ে হেলিকপ্টারটি কারাস্কুল মাঠে অবতরণ করে। ‘কিছু বুঝে ওঠার আগেই’ মালয়শীয় দম্পতি ও তাদের তিন শিশু সন্তানকে (দুই বছরের ও আট বছরের দুই মেয়ে এবং পাঁচ বছরের এক ছেলে) নামিয়ে দিয়ে হেলিকপ্টারটি দ্রুত উড়ে যায়।
তবে কড়া নিরাপত্তা পাহারার মধ্যে কীভাবে হেলিকপ্টারটি কারা ক্যাম্পাসে নেমে আবার চলে যেতে পারল সে বিষয়ে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর সুপার প্রশান্ত কুমার বনিক কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পরিচালক কাজী ইকবাল করিম বলেন, “গাজীপুরে যেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে শুনছি সেখানে সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটির আসলে করার কিছু নেই। সেখানে কোনো আইনের লঙ্ঘন হলে সেটা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন দেখবে।
“একটি নির্দিষ্ট সীমানায় ফ্লাই করার জন্য বেসরকারি হেলিকপ্টারগুলোকে অনুমতি দেওয়া হয়। তারা নিয়ম না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এর বাইরে তারা কোথাও ফ্লাই করতে চাইলে সেখানকার পুলিশ প্রশাসনের অনুমতির দরকার পড়ে। কাস্টমারের চাহিদা অনুয়ায়ী অনুমতি পেলে তারা সেখানে তাদের পৌঁছে দেন।”
কোনাবাড়ি ফাঁড়ি পুলিশের পরিদর্শক মোবারক হোসেন জানান, কুদ্দুসনগরে হেলিকপ্টারটির নামার অনুমতি ছিল। তারা সেখানে অপেক্ষাও করছিলেন। কিন্তু পাইলট ভুল করে কারাসীমানায় নামে।